জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কর্ণিবাড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান (৪৩)। তিনি ২৭ মার্চ দুপুরে বগুড়া প্রেস ক্লাবে লিখিত বক্তব্যে বলেন তার এলাকার দায়িত্বরত ওয়ার্ডের উল্লাডাঙ্গা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা সাহার আলীর কন্যা সাকিলা আক্তার। তার সাথে দিঘলকান্দি গ্রামের হানজেলার সাথে বিবাহ হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
পারিবারিক বিবাহ বিচ্ছেদের বিরোধ নিষ্পত্তির তারিখে সাকিলার স্বামী সারিয়াকান্দীর দিঘলকান্দির মোঃ জাহাঙ্গীরের ছেলে হানজেলা আকন্দ (৩০) উপস্থিত না হলে গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মোসাঃ সাকিলা নিজের সিদ্ধান্তে তার স্বামীকে একতরফা তালাক প্রদান করেন। উল্লেখ্য তাদের এর পূর্বেও একাধিকবার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে এবং একাধিবার বিবাহ হয়েছে।

একতরফা তালাকের ঘটনার জের ধরে বিবাদী মোঃ হানজেলা তার বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যা পিবিআই এর প্রতিবেদন দাখিল করলে মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হলে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। মামলার ২য় বিবাদী একই এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৫৫), তাকে বিভিন্ন বিভিন্ন ধরনের ভীতি সহ প্রান নাশের হুমকি প্রদান করে।

১নং বিবাদী হানজেলা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক হওয়ায় তার বিরুদ্বে মিথ্যা মামলা/অভিযোগ দায়ের করে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে। ২নং বিবাদী গত ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে সারিয়াকান্দি থানাধীন দীঘলকান্দি গ্রামস্থ প্রেম যমুনার ঘাটে মোঃ বেলাল মিস্ত্রীর পিয়াাজুর দোকানের সামনে তার উপর অতর্কিত ভাবে হামলা করে। তাতে তিনি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত জখম হন।

পরে স্থানীয় লোকজন তাতে উদ্ধার করে উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ্য হওয়ার পর সে সারিয়াকান্দী থানার হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা – ০৪। এ অভিযোগে হানজেলা ও জাহাঙ্গীরকে বিবাদী করা হয়। তিনি আরো উল্লেখ করেন বিবাদীরা এখনো থানা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং মামলাটি প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।

গত ২২ মার্চ তিনি প্রয়োজনীয় কাজ শেষে মোটরসাইকেল যোগে গাবতলি থানাধীন চকবুজাই গ্রামে ২নং বিবাদীর বাড়ী সামনে পৌছা মাত্র আমার পিছ থেকে অপর একটি মোটরসাইকেল যোগে এসে তাকে লাথি মেরে রাস্তার উপর ফেলে বিবাদীরা এলোপাথাড়ী ভাবে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে।

স্থানীয় লোকজন তাকে গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে তিনি গাবতলি থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করতে চাইলে ওসি তার অভিযোগটি নেননি বলে জানান। উল্লেখ্য ১নং বিবাদী হানজেলার নামে ৮টি মামলা চলমান আছে।

তিনি বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে জঙ্গীগোষ্ঠীর কবল থেকে তার প্রাণ রক্ষা করতে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।