মহাদেবপুর (নওগাঁ) সংবাদদাতা ঃ নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে জরাজীর্ণ বাড়িতে বসবাস করছেন সুমতি পাহান। জানা গেছে উপজেলার বড়মহেশপুর গ্রামের মৃত লালটু পাহানের স্ত্রী সুমতি পাহান দীর্ঘদিন ধরে তার প্রতিবন্ধী মেয়ে মিনতী পাহানকে নিয়ে একটি জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছেন। বাড়ি ভিটায় স্বামীর ৩ শতক জমি থাকলেও বাড়ি নির্মাণ করার মতো আর্থিক সামর্থ তার নেই। এ কারণে সরকারের জমি আছে বাড়ি নেই এ প্রকল্পের আওতায় একটি বাড়ি নির্মাণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সুমতি পাহান। সুমতি পাহানের প্রতিবেশি নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রী সুমিত্রা রানী পাহান জানান, প্রায় ২৫ বছর আগে সুমতি পাহানের স্বামী মারা যায়। তার ৩ টি ছেলে এবং ৩ টি মেয়ে থাকলেও কেউ তার খবর রাখেনা। এদের মধ্যে ২ ছেলে অনেক আগেই ভারতে পাড়ি জমিয়েছে। অন্য ছেলে মেয়েরা ভিন্ন স্থানে বসবাস করছে। প্রতিবন্ধী এক মেয়ে মিনতী পাহানকে নিয়ে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে স্বামীর রেখে যাওয়া জরাজীর্ণ বাড়িতে বসবাস করছে সুমতি পাহান। শীতকাল ও বর্ষাকালে এ বাড়িতে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ে। পুরাতন চালা সংস্কার করতে না পারায় বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে ঘরের ভিতর বৃষ্টি পড়ে। তার বয়স এখন প্রায় ৮০ বছর হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স ভুল হওয়ায় বয়স্ক ভাতাও জোটেনি তার ভাগ্যে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুল হাসান সোহাগের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাড়ি নির্মাণের জন্য আবেদন প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, জমি আছে বাড়ি নেই এ প্রকল্পের বাড়ি নির্মাণের জন্য অনেক আবেদন পড়েছে সেগুলো যাচাই বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।