জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সহ¯্রাধিক দু:স্থ ও শ্রমজীবি মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়। গতকাল শনিবার বিকেলে বগুড়া শহরতলীর বনানী ষ্ট্যান্ড এলাকায় আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম আছাদুর রহমান দুলু।
ইফতার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘শিশু হও, শিশুর মতো হও। শিশুর মতো হাসতে শেখ। দুনিয়ার ভালোবাসা পাবে।’ আসলে বঙ্গবন্ধু ছিলেন শিশুর মতো সরল একজন, তার হাসিও ছিল শিশুর মতো; আর তাই সারা পৃথিবীর ভালোবাসা তার জন্য।
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। তার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। এ দেশের নাগরিক হতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ। তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশের। আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্যে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুব আদর করতেন। তিনি জানতেন, শিশুদের তৈরি করতে পারলে একটি সৎ ও সাহসী জাতি তৈরি হবে। বাঙালির আদর্শ পুরুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বর্তমান প্রজন্মের মন-মননে চিন্তা-চেতনে আদর্শ-অনুপ্রেরণে চেতনায়-জাগরণে প্রদীপ্ত শিখারূপে প্রবাহমান। শৈশব থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন স্বভাবজাত নেতা, নেতৃত্বের গুণ তাঁর মধ্যে বিকশিত হয়েছিল বাল্যকাল থেকেই। একই সাথে অধিকার আদায়েও তিনি ছিলেন শৈশব থেকেই সোচ্চার একটি কন্ঠ।
১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মোরশেদুল আলম হিরুর সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আলমগীর হোসেন স্বপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট মামুন হোসেন, কামরুজ্জামান মাসুদ, আলী হায়দার টিক্কা, মহিদুল ইসলাম, সোহেল তানভীর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুন্নবী সরকার, মামুনুর রশিদ, মোতাহার হোসেন মিজু, রাকিবুল হাসান রাজু, সোয়েব হোসেন, রুবেল হোসেন, জেলা তাঁতী লীগ নেতা আলামিন হোসেন সুমন, মাহমুদুল হাসান রনি, শাজাহানপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু মিয়া, মাশরুক আল রহমান অরিত্র, অন্তর প্রমুখ। ইফতার বিতরণ শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর শহীদ পরিবারের রুহের মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।