1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে চান প্রধানমন্ত্রী - Uttarkon
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে চান প্রধানমন্ত্রী

  • সম্পাদনার সময় : বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪
  • ৩৪ বার প্রদশিত হয়েছে

ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান। সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভুটান থেকে সহজে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের সহায়তা চেয়েছেন। নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করবে এবং আগামী ২৫ মার্চ ভুটানের রাজার আসন্ন সফরে এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই হবে। একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ভুটান থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে তার দেশের অ্যান্টি-ডাম্পিং পরিমাপকারীদের অপসারণের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভারত সৈয়দপুর রেলওয়ে ওয়ার্কসপকে আধুনিকায়ন করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, দেশে অব্যাহত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন অর্জন করেছে।

তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর এবং ১৯৯৬ সালের আগে পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী কে হতো তা একটি‘নির্দিষ্ট মহল’ নির্ধারণ করত। শেখ হাসিনা বলেন, এ কারণেই জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে পারেনি।

তিনি বলেন, ‘কিন্তু ১৯৯৬ সালে সেই একই মহল গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার কাছে মাথা নত করে। ওই বছর আওয়ামী লীগ প্রথমবারের মতো দুষ্টচক্র ভেঙে নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল।’

হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, গত বছর ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় বাংলাদেশে মোট চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আর বাস্তবায়নের জন্য আরো দুটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন।

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লেনদেনে রুপি-টাকার ব্যবহার, ডিজিটাল পেমেন্ট নেটওয়ার্ক এবং বঙ্গবন্ধু বায়োপিকসহ দু’দেশের কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ রয়েছে।

ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত দুই দেশের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের (সিইপিএ) আলোচনা এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরো বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে উত্তরণের পর সিইপিএ সহায়ক হবে।

তিনি বলেন, এলওসিকে প্রকল্পভিত্তিক করে তুলতে একটি নতুন কাঠামো প্রস্তুত করতে নতুন চিন্তাভাবনা ও আলোচনা চলছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভারত বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের মধ্যে একটি উচ্চ বিদ্যুৎ গ্রিড লাইন স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যাতে এই চার দেশের যেকোনো অংশে সহজে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা যায়।

তিনি আরো বলেন, ভারত থেকে ডিজেল আমদানির জন্য সৈয়দপুর থেকে নাটোর পর্যন্ত ডিজেল পাইপলাইন সম্প্রসারণের উদ্যোগ রয়েছে।

ভার্মা বলেন, বিশ্বখ্যাত প্রতিরক্ষা শিল্পগুলো ভারতে তাদের কারখানাগুলো স্থানান্তরিত করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি প্রতিরক্ষা কারখানা স্থাপনে ভারতের সাথে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে বাংলাদেশ।

তিনি শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি তার দেশের জাতীয় নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তিনি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।

ভারতীয় হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, তারা রংপুরে একটি অফিস স্থাপনে আগ্রহী।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিবেচনা করবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : ইউএনবি

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies