1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
রাজশাহীতে দেশ-বিদেশের দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিটের প্রদর্শনী - Uttarkon
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা : যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার হয়– মজিবর রহমান মজনু আদমদীঘিতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ঘোড়া মার্কার প্রার্থীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা বগুড়ায় সেই নারীর গলায় গুলির অস্তিত্ব পেয়েছে চিকিৎসকেরা শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা : খাদ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে ট্রাক বোঝাই ধান চুরি মামলার মূলহোতাসহ গ্রেফতার-৩, ট্রাক জব্দ সারিয়াকান্দিতে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা প্রচন্ড গরমে চাহিদা বেড়েছে মহাদেবপুরে তৈরি হাত পাখার মহাদেবপুরে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেত মজুর ও কৃষক ফ্রন্টের মানববন্ধন দুবাইয়ে বাংলাদেশীদের শত শত বাড়ি হলো কিভাবে

রাজশাহীতে দেশ-বিদেশের দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিটের প্রদর্শনী

  • সম্পাদনার সময় : সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
  • ১০ বার প্রদশিত হয়েছে

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: দেশ-বিদেশের দুষ্প্রাপ্য সব ডাকটিকিটের প্রদর্শনী চলছে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে। বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটি নামের একটি সংগঠন রাজশাহীর নানকিং দরবার হলে ‘বরেন্দ্রপেক্স-২০২৪’ শিরোনামে প্রদর্শনীটির আয়োজন করেছে। রোববার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। দুই দিনের এই ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী শেষ হবে সোমবার।
বিশিষ্ট ডাকটিকিট সংগ্রাহক ও ডাকটিকিট গবেষক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল (উত্তরাঞ্চল) কাজী আসাদুল ইসলাম, রাজশাহীর অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক।
রাজশাহীর এই প্রদর্শনীতে দুষ্প্রাপ্য ডাকটিকিট যেমন প্রদর্শন করা হচ্ছে তেমনি তা কেনারও সুযোগ রয়েছে।
আর প্রদর্শনীর স্থান থেকেই রয়েছে চিঠি পোস্ট করার সুযোগ-সুবিধা। আর এ জন্য ডাকবিভাগের উদ্যোগে অস্থায়ী পোস্ট অফিসও করা হয়েছে সেখানে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদর্শনী উপলক্ষে ডাকবিভাগ ‘বরেন্দ্রপেক্স-২০২৪’ নামে দুই দিনের জন্য বিশেষ একটি খামও এনেছে। এছাড়া ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে দুটি সিলমোহর দেওয়া হয়েছে প্রদর্শনী উপলক্ষে।
এই ডাকটিকিট প্রদর্শনীতে সারাদেশ থেকে বাছাই করা ২৫ জন ডাকটিকিটের সংগ্রাহক তাদের সংগ্রহ প্রদর্শন করছেন। পাশাপাশি তারা তাদের ডাকটিকিট বিক্রিও করছেন।
প্রদর্শনীতে পাকিস্তান আমল থেকে বর্তমান সময়ের সব ডাকটিকিট রয়েছে। বিশ্বের নানান দেশের দুষ্প্রাপ্য সব ডাকটিকিটও প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। এছাড়া সকল দর্শনার্থীদের জন্য দেয়ালে দেয়ালে প্রদর্শন করা হচ্ছে অনেক পুরনো চিঠির খামও। মহানগরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ঘুরে ঘুরে এসব দেখছেন।
রাজধানী ঢাকার উত্তরা থেকে এই ডাকটিকিট প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন সংগ্রাহক কাজী মাহবুবুর রহমান। তার সংগ্রহে স্বাধীনতার আগেও বাংলাদেশকে নিয়ে যে আটটি ডাকটিকিট ছাপানো হয়েছিল তার সবগুলোই রয়েছে। তবে ওই সময় এই ডাকটিকিটগুলো ছাপানো হয়েছিল রুপির হিসেবে। যেমন ১০ পয়সা, ২০ পয়সা, ৫০ পয়সা, ১ রুপি, ২ রুপি, ৩ রুপি, ৫ রুপি ও ১০ রুপি। এই ব্যাতিক্রমী ডাকটিকিটগুলোর কোনটিতে কোন কোন বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা তিনি নিজেই বর্ণনা করে জানাচ্ছেন দর্শনার্থীদের। তার পাশেই ডাকটিকিট নিয়ে বসেছেন সাতক্ষীরা থেকে আসা আহসান-আল-আমিন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিট বের করে দেখান সবাইকে। আর এটি ছিল ২০ পয়সার। ডাকটিকিটের ওপরে উড়ছে ৬টি পায়রা। এছাড়া দেশের ডাকবিভাগ কর্তৃক অস্থায়ী পোস্ট অফিসে বর্তমান সময়ে প্রচলিত ডাকটিকিটগুলো প্রদর্শন করা হচ্ছে এবং এখানে ডাকটিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।
অস্থায়ী পোস্ট অফিসেই একটি ডাকবাক্সও রাখা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে বরেন্দ্রপেক্স খামে পাঁচ টাকার ডাকটিকিট দিয়ে সেখানে আজ চিঠি পোস্ট করছিলেন অনেকেই। এছাড়া আট টাকার ডাকটিকিটে রেজিস্ট্রি করে এবং দ্রুত চিঠি পৌঁছাতে ১০ টাকার ডাকটিকিট দিয়ে জিইপি চিঠি পাঠাচ্ছিলেন কেউ কেউ। রোববার প্রথম এক ঘণ্টাতেই ৩০টি জিইপি (দেশের ভেতরে জরুরি চিঠি প্রেরণ) ও ৮টি রেজিস্ট্রি করা চিঠি জমা হয়েছিল অস্থায়ী পোস্ট অফিসে।
বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন্ত কুমার সাংবাদিকদের জানান, যারা এখন প্রবীণ, তাদের শৈশব কৈশোরের স্মৃতি হচ্ছে এই ডাকটিকিট। মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেটের যুগের আগে এগুলোই ছিল। যোগাযোগমাধ্যমের প্রাণ শক্তি। কিন্তু মোবাইল ও ইন্টারনেটের যুগে এসব ডাকটিকিট কেবলই স্মৃতি। তাই সেই মধুর স্মৃতিময় ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতেই তাদের এই আয়োজন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies