1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
রাবিতে আট শিার্থীর আমরণ অনশন - Uttarkon
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া উপজেলা নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখাই আমার লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আ’লীগের মূল লক্ষ্য : কাদের বিএনপি নেতারা হতাশ নয় : কাদেরকে রিজভী এলপিজির দাম আবারো কমলো মাছের বরফে তৈরি শরবতে প্রাণ জুড়াচ্ছেন নগরবাসী রাজশাহীর তানোরে হিমাগারে রাখা ভারতীয় আলুতে পচন ও গাছ স্থানীয় চাষিরা দিশেহারা আগামী আমন মৌসুম থেকে পালিশ (ছাটাই) বিহীন চাল বাজারজাত করতে মিলারদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে : খাদ্যমন্ত্রী তাপদাহে ক্লান্ত শ্রমজীবি ও পথচারীদের মাঝে সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র শরবত বিতরণ বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ব্যারিস্টার এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে সাবেক এমপি লালুর শোক

রাবিতে আট শিার্থীর আমরণ অনশন

  • সম্পাদনার সময় : বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২৪ বার প্রদশিত হয়েছে

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীায় অংশ নেওয়ার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের আট শিার্থী। বিভাগের শিক কর্তৃক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ডিসকলেজিয়েট হয়েছেন বলে দাবি তাদের। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকের সামনে এ আমরণ অনশনে বসেছেন তারা। এর আগে, বিভাগের সামনে থেকে এক পদযাত্রা বের করেন। পরে প্রশাসন ভবনের সামনে মিলিত হয়ে অনশনে বসেন তারা। অভিযোগকারী শিার্থীরা হলেন গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের কারুশিল্প ডিসিপ্লিনের ২০২০-২১ শিাবর্ষের স্নাতকোত্তর থিসিস ও নন-থিসিস পর্যায়ের আট শিার্থী। তারা হলেন, মেহেদী হাসান, ফয়সাল আহমেদ,তানভির, জয়শ্রী, রিতু পর্না, ফারজানা ইয়াসমিন, ফাতিমা আফরিন মিম, অনামিকা। অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক হলেন একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মনির উদ্দিন আহাম্মেদ ওরফে টভেল। শিার্থীরা জানান, বিভাগের মোট ১২ জন শিার্থীর মধ্যে ৮ জনকে ইচ্ছাকৃতভাবে কম অ্যাটেন্ডেন্স দেখিয়ে ডিসকলেজিয়েট করা হয়েছে, যেটা অফিসিয়ালি তাদেরকে কোনোভাবে জানানো হয়নি। নিয়মিত কাস করার পরও এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। শ্রেণীশিক প্রতিদিন ১২টা থেকে ১টার মধ্যে ডিপার্টমেন্টে আসেন, যেখানে তিনি তাদের সাড়ে নয়টা থেকে কাসে থাকতে বলতেন এবং বিভিন্ন কর্মচারী ও জুনিয়র শিার্থীদের থেকে শুনে তার ভিত্তিতে অ্যাটেন্ডেন্স দিতেন। এই নিয়মের ফলে শিার্থীরা অনেকেই কাসে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও অনুপস্থিত হিসেবে চিহ্নিত হোন।
শিার্থীরা আরও জানান, গোপনে মাত্র ২দিন সময় দিয়ে ৪ জন শিার্থীর জন্য পরীার ফর্ম ফিলাপ করানো হয়েছে। বাকি ৮ জন শিার্থীকে এই প্রক্রিয়া থেকে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে, যেটা উনারা ফরম ফিলাপের একদম শেষের দিনে নোটিশ বোর্ডে প্রকাশ করেছেন। আগামী ২৫ই ফেব্রুয়ারী (রোববার) তাদের পরীার দিন ধার্য করা হয়েছে।
আমরণ অনশনে বসা মেহেদী হাসান বলেন, ‘প্রতি মাসের শেষে আমাদের কাছ থেকে অ্যাটেন্ডেন্স খাতায় স্বার নেওয়া হতো। শিকের উপর আস্থা রেখে আমরা স্বার করে দিতাম। পরবর্তীতে, এই স্বারের ভিত্তিতে ইচ্ছাকৃতভাবে কম অ্যাটেন্ডেন্স দেখিয়ে আমাদের ডিসকলেজিয়েট করা হয়েছে। শুরু থেকেই আমাদের ডিসকলেজিয়েট করার এবং পরীা না দিতে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হতো। শ্রেণীশিক বারবার বলতেন, “তোমরা কীভাবে পরীা দাও আমি দেখে নিবো”।
ফাতিমা আফরিন মিম বলেন, “আমাদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে ডিসকলেজিয়েট করে আমাদের জীবনকে ভবিষ্যৎ ধংসের পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। আমরা সকাল থেকে আমরণ অনশনে বসেছি। আমরা আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে উঠবো না। নিয়মনীতি উপো করে কাস নিতে ১২টার পরে শিক আসেন। আমাদের কোর্স অসম্পূর্ণ রেখে কাস শেষ করা হয়েছে। চারুকলায় নিয়মিত শিার্থীদের উপর অন্যায় করা হয়। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত ও সমাধান চাই”।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক মনির উদ্দিন আহাম্মেদ ওরফে টভেল বলেন, “আমি এবিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। কারণ হলো, এরকম অনেক কথায় তারা লিখেছে। আমি হুমকি দেওয়ার কে? কাসতো আরো কয়েকজন শিক নিয়েছে, আমিতো একা নেয়নি? আপনারা অফিসে এসে সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে পারেন। কাগজপত্র সব রেডি আছে। তারা কাস করার পরে মাস শেষে অ্যাটেনডেন্স শিটে স্বারও করেছে। সব স্যা প্রমাণ আছে। এখন তারা যদি কাস না করে, তাহলে আমি কিভাবে কি করব? দয়া করে উপস্থিতি দেখানোর মতা আমার নাই। তাদের সাথে তো আমার ব্যক্তিগত খারাপ সম্পর্কও নাই”।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, “একজন শিক কি এভাবে কাউকে ডিসকলেজিয়েট করতে পারে? তারা কাসে অনিয়মিত ছিল। নিয়ম অনুযায়ী তারা ডিসকলেজিয়েট হয়েছে”।
এখন কি করবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রশাসন থেকে আমাদেরকে ডাকা হয়েছে। আমরা গিয়ে তাদের সাথে কথা বলে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিবো বলে জানান তিনি”।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, “আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করার পরেও তারা উঠবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যও তাদেরকে আশ্বস্ত করেছে, কিন্তু তারা কোনো লিখিত বক্তব্য ছাড়া এখান থেকে উঠবে না। আমরা তাদের অনুষদের ডিনের সাথে কথা বলেছি এবং দ্রুত প্রশাসন ভবনে আসার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে”।
এর আগে, ঘটনার সমাধানে হস্তপে কামনা করে গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর বরাবর অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন শিার্থীরা। তবে কোনো সঠিক কোনো সমাধান না পাওয়ায় আজ তারা আমরণ অনশনে বসেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies