পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) থেকে নুরুল ইসলামঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পার্শ্ববতী সাদুল্লাপুরের লক্ষ্মীপুর রহিমা খাতুন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি নানামূখী সমস্যায় জর্জরিত। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় দেখেও যেন দেখার কেউ নেই।
বিদ্যালয়টি স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে এলাকার দানবীর আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর দানকৃত ৯২ শতক জমির উপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর আশেপাশে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় কর্তৃপক্ষের নজরে এসে ১৯৭৩ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। সুন্দর, মনোরম, কোলাহলমুক্ত ও গ্রামীণ পরিবেশে অতি সুনাম সুখ্যাতির সাথে পরিচালিত হওয়ায় ১৯৮৫ সালে এমপিও ভূক্ত হয়। বর্তমানে সেখানে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩ শতাধিক। শিক্ষক-কর্মচারী ১৫ জন। সুদক্ষ ম্যানের্জিং, বিচক্ষণ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পরিচালিত বিদ্যালয়টির পাশের শতভাগ হলেও অবকাঠামো দিকে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। বর্তমানে দুইটি টিনসেট ঘর যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫০ হাত হলেও জরাজীর্ণ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে ক্লাস করছে। বৃষ্টির সময় টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে শিক্ষার্থীদের বই-খাতা জামা-কাপড় ভিজে যায় বলে শিক্ষার্থীরা জানান। প্রধান শিক্ষক আবু সাইদ মোঃ শাহারুল হুদা সাংবাদিকদের জানান, বর্তমানে প্রধান সমস্যার মধ্যে হচ্ছে ভবন সংকট। এলাকার জনৈক অভিভাবক জানান, আশেপাশের এমনও বিদ্যালয় আছে যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অতিনগন্য। অথচ ওই সকল বিদ্যালয়ে সরকারি ভাবে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই রহিমা খাতুন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণ অত্যান্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। তারা আরও জানান, ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা পরিদর্শনে করে ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও অদ্যবধি ভবন নির্মাণের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এছাড়াও বিশাল আকৃতির খেলার মাঠ থাকলেও প্রাচীর বেষ্টনী নেই। বিদ্যালয়টির পাশ দিয়ে চলমান রাস্তায় চারিদিকে পাকা হলেও বিদ্যালয় সংলগ্ন ১ কি. মি. রাস্তা কাঁচা থাকায় বর্ষাকালীন সময়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পথচারীদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হয়। তাই ভুক্তভোগী এলাকার সচেতন মহলের প্রাণের দাবী উল্লেখিত সমস্যা সমূহ চিহিৃত করে অনতিবিলম্বে সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।