1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
ধানের সবুজ পাতায় কৃষকের সোনালী স্বপ্ন - Uttarkon
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন

ধানের সবুজ পাতায় কৃষকের সোনালী স্বপ্ন

  • সম্পাদনার সময় : বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩
  • ১৭২ বার প্রদশিত হয়েছে

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : নীলফামারীর জেলার ডিমলা উপজেলায় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কেবলই সবুজের সমারোহ। বাতাসে বোরো ধানের সবুজ ঢেউ কৃষকের মন ভরিয়ে দিচ্ছে। ঢেউয়ের মতো খেলে যাচ্ছে ধান গাছের সবুজ পাতা ও কাঁচা শীষ। কয়েকদিনের মধ্যেই শীষে দুধ-দানা গঠন শুরু হবে। আর এমন সবুজ ঢেউয়ে দুলে উঠছে প্রকৃতি। ইরি-বোরো ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। ধানের কাঁচা শীষ দেখে আনন্দে বুক ভরে উঠে তাদের মন। দিগন্ত জোড়া সবুজ ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরো বিকশিত করে তুলেছে।

নীলফামারীর জেলার ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ইরি-বোরো ধানের মাঠে সবুজের সমারোহ। ধানের প্রতিটি ক্ষেতে উঁকি দিচ্ছে শীষ। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটছে কৃষকের। কৃষকরা মাঠে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধান গাছের পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মাঠে সেচ, সার, কীটনাশক প্রয়োগ, আগাছা পরিষ্কার এবং পার্চিং ব্যবহার করছেন কেউ কেউ।

কৃষকরা বলছেন, অনুকূল আবহাওয়া, নিবিড় পরিচর্যা, যথাসময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে বোরো ধানের চাষাবাদ ভালো হয়েছে। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।

তারা বলছেন, কদিন পরেই ধানের সবুজ চারা এবং কাঁচা শীষ হলুদ বর্ণ ধারণ করবে। এরপর সোনালী ধানের শীষে ঝলমল করবে মাঠের পর মাঠ। রাশি রাশি সোনালী ধানে ভরে উঠবে কৃষাণ-কৃষাণীর শূন্য গোলা। আর তাইতো বোরো এই রোরো ধানকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।

বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষক আলমগীর হোসেন বলেন, আমি এবার ১০ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি না হয়, তাহলে সুন্দরভাবেই ফসল ঘরে তুলতে পারবো।

ডিমলা সদর ইউনিয়নের উত্তর তিতপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার জুয়েল বলেন, তিনি এবার ২০/২৫ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছেন। এবছর সার ও সেচের তেমন কোন সংকট হয়নি। যে কারণে ফসলের চেহারা অনেক সুন্দর হয়েছে। সবল-সতেজ চারাগুলো দেখে মনে হয় ধানের ব্যাপক ফলন হবে।

খগা খড়িবাড়ী ইউনিয়নের বন্দর খড়িবাড়ী গ্রামের কৃষক চন্দন বলেন, এ বছর আমি ৫০ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। ধানের দাম ভালো হওয়ায় গত বছরের চেয়ে এবার দু’বিঘা জমি বেশি ধান চাষ করেছি। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসে, তাহলে এ বছর ধানের ভালো ফলন পাবো আশা করছি।

প্রতি বিঘায় অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ মণ ধান উৎপাদন হবে বলে জানান তিনি।

ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী বলেন, এবারের মৌসুমে বোর ধানের লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার ২শত ৫২ হেক্টর। অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এখনও পর্যন্ত উপজেলার কোথাও কোন পোকার আক্রমণ দেখা যায়নি। ইতোমধ্যেই ধান গাছে শীষ বের হতে শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে এবং কৃষকরাও লাভবান হবেন বলে মনে করি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies