সিরাজগঞ্জঃ রবিবার সন্ধায় সিরাজগঞ্জের ভাসানি মিলনায়তনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ জেলা জিয়া পরিষদ আয়োজিত শিশু কিশোরদের মধ্যে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্য পুরুস্কার বিতরণ করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জ জেলা জিয়া পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক হাশিম তালুকদারের সভাপতিত্বে ও জেলা জিয়া পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান মিনুর পরিচালনায় পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জাতির সকল দুঃসময়ে আলোকবর্তিকা হয়ে আমাদের পথ দেখিয়েছেন,একাত্তরের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে তৎকালিন মেজর জিয়াউর রহমান যখন স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষনা দেন, তখন দিশেহারা মুক্তিপাগল জনগণ অনুধাবন করে তারা একা নয়, দেশপ্রেমিক সৈনিকরাও তাদের সাথে রয়েছেন, তাই মেজর জিয়ার ঘোষনাই স্বাধীনতার সুচনা। তিনি আরো বলেন, দেশ ও জাতি এখন এক দুঃসময় পার করছে, ১৮ কোটি মানুষকে গ্যাস চেম্বারের ঢুকিয়ে দেওয়ার মতো করে তাদেরকে অবিরাম ভুল ইতিহাস শেখানো হচ্ছে। এখনই সময় হয়েছে কিভাবে একজন মেজর জিয়া দুঃসাহসের সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষনা দিয়ে ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কিভাবে বীরত্বের সাথে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনে ছিলেন। তিনি একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রবক্তা, আর বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী আদর্শ হচ্ছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সকলেই স্বাধীন ও নিরাপদে ধর্মকর্ম পালন করবে। তিনিই তলাবিহীন ঝুড়ির কালিমামচন করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বিদেশে খাদ্য রপ্তানি করে ছিলনে। আমরা তাই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে নিয়ে গর্ববোধ করি, শহীদ জিয়া আমাদের চেতনার কেন্দ্র বিন্দু, আমাদের প্রাণ, তারা দেখানো পথই গণতন্ত্রর পথ, মুক্তির পথ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রুমানা মাহমুদ ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বিজয়ীদের মধ্যে পুরুস্কার বিতরণ ছাড়াও অংশগ্রহণকারী একশজন কিশোর কিশোরদেরকেও পুরুস্কৃত করা হয়। প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী সকল শিশু কিশোরদের সহ তাদের অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। অনুষ্ঠানে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্হিত ছিলেন।