1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
চল্লিশ বছর ধরে প্রতিদিন রোজা রাখছেন কুড়িগ্রামের ইনছান আলী - Uttarkon
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
রোববারই খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শনিবার ক্লাসসহ ৪ নির্দেশনা তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি, অতি তীব্র দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা আ.লীগ লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর করেছে: রিজভী বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে : ওবায়দুল কাদের নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন রাজশাহীতে বৃষ্টি চেয়ে নামাজ, অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা রাজশাহীর পান পেল জিআই নিবন্ধন সনদ রাজশাহীতে অস্বাভাবিক হারে নামছে ভূগর্ভস্থ স্তর, গভীর নলকূপেও মিলছে না পানি রাজশাহী মহানগরীতে গাঁজা ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার ১ আদমদীঘিতে এ্যাম্পুলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

চল্লিশ বছর ধরে প্রতিদিন রোজা রাখছেন কুড়িগ্রামের ইনছান আলী

  • সম্পাদনার সময় : শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২
  • ২১৩ বার প্রদশিত হয়েছে

কুড়িগ্রাম।। আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের জন্য দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে রোজা রাখছেন ইনছান আলী (৭৫)। প্রথমে পাঁচ বছর রোজার রাখার নিয়ত করে রোজা শুরু করলেও পরবর্তীতে আর ছাড়তে পারেননি তিনি। ইনছান আলীর বাড়ি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোব এলাকায়। তিনি পেশায় একজন কৃষক। ইনছান আলী ১৯৮১ সাল থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি একটানা রোজা পালন করে আসছেন। এমনি করে গত চল্লিশ বছর ধরে প্রতিদিন রোজা পালন করে আসছেন তিনি। তিনি ঈদ-উল-ফিতরের একদিন ও ঈদ-উল-আযহার চারদিন মিলে মোট পাঁচদিন ব্যতীত সারা বছরই রোজা রাখেন। এতে তার শারীরিক কোনো সমস্যা হয় না। রোজা রেখেই স্বাভাবিকভাবে সকল কাজকর্ম করতে পারেন। ইনছান আলীর পরিবার জানায়, কর্ম জীবনের শুরুতে ইনছান আলী সুপারি কিনে বাজারে বিক্রি করতো। ১৯৭০ সাল পরবর্তী সুপারির ব্যবসার সুবাদে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে নাগেশ্বরী উপজেলার মাদাইখাল নাউ খাওয়া ব্রীজ এলাকার সুপারী চাষী সাদর উদ্দিনের সাথে। সাদর উদ্দিন একজন ধার্মিক মানুষ। সাদর উদ্দিনের সাথে চলাফেরার এক পর্যায়ে ধর্মীয় কর্মকান্ডের প্রতি অনুরাগী হয়ে উঠেন ইনছান আলী। বন্ধু সাদর উদ্দিনের রোজা রাখা দেখে তিনিও রোজা শুরু করেন। যা আজ অবধি অব্যাহত রেখেছেন। ইনছান আলীর নাতি আতাউর রহমান বলেন, জন্মের পর থেকেই নানার রোজার বিষয়টি জেনে আসছি। রোজা রেখেই তিনি কঠোর পরিশ্রম করেন ও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। অসুস্থ অবস্থায়ও তাকে কোনো দিনও রোজা পরিত্যাগ করতে শুনিনি। ইনছান আলীর স্ত্রী জেলেখা খাতুন বলেন, আমার স্বামী ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রোজা পালন করে আসছেন। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। আমরা গরীব মানুষ। ঠিকমতো মাছ মাংস ও ফলমুল কিনে খেতে পারিনা। আমার স্বামী প্রতিদিন সাহরী ও ইফতারে ভাত কিংবা চিড়া মুড়ি খান। টানা রোজা রেখে তার কোনো শারীরিক সমস্যা হয়নি কখনো। ইনছান আলী বলেন, ঈদ-উল-ফিতরের একদিন ও ঈদ-উল-আযহার চারদিন মোট পাঁচদিন ব্যতীত সারা বছর রোজা পালন করি। রোজা পালনে আমার কোনো সমস্যা কিংবা শারীরিক অসুস্থতা বোধ করিনা। সারাদিন রোজা রাখার পর মানসিক তৃপ্তি পাই। আমার প্রেশার, ডায়াবেটিস সহ জটিল বা কঠিন কোন রোগ নেই। ইনছান আরও বলেন, ১৯৮১ সাল থেকে বন্ধুর নিয়মিত রোজা রাখা দেখে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে একাধারে পাঁচ বছর রোজা পালনের নিয়ত করি। পাঁচ বছর রোজা পালনের পর আর ছাড়তে পারিনি। যা এখন পর্যন্ত পালন করে যাচ্ছি। রোজা পালনের কথা মানুষকে বলা ঠিক নয়। রোজার প্রতিদান আল্লাহ তায়ালাই আমাকে দেবেন। আমি সারাজীবন রোজা রাখতে চাই। সামনে রমজান মাস। এ মাসে সকল মুসলমানকে রোজা পালনের আহবান জানাচ্ছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকে জেনে আসছি ইনছান আলী রোজা পালন করে আসছেন। এই বৃদ্ধ বয়সেও তিনি রোজা রেখে যাচ্ছেন তা দেখতে ভালোই লাগে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies