স্টাফ রিপোর্টারঃ খেলাধুলার মূল কথা হলো প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টি করা। প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব খেলোয়াড়দের মধ্যে তৈরী করে শৃঙ্খলাবোধ, অধ্যবসায়, দায়িত্ববোধ, কর্তব্যপরায়ণতা ও পেশাদারিত্ব। খেলাধুলার সঙ্গে স্বাস্থ্য ও মনের একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সুস্থ দেহ মানেই সুস্থ মন। খেলাধুলা জীবনকে করে সুন্দর, পরিশীলিত। তাছাড়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের পরিচিতি ও সম্মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে খেলাধুলার ভূমিকা অতুলনীয়। খেলাধুলা দেশের জন্য একান্তভাবে প্রয়োজন। যতবেশি খেলাধুলার সঙ্গে আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে সম্পৃক্ত রাখতে পারবো তারা ততবেশী সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে। চিন্তা-চেতনায়, মন-মননে অনেক বেশি শক্তিশালী, অনেক বেশি উন্নত হবে তারা।’খেলা যেমন মানুষের মনকে সুন্দর রাখে, তেমনি জীবনের চলার পথটা করে দেয় সুন্দর। সুস্থ দেহ থাকলে, একটা সুস্থ মনও থাকবে। এই মন আর এদিক-ওদিক যাবে না। এরই আলোকে বর্তমান সরকারের ৫০ তম জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বগুড়া ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ বাস্কেট বল খেলায় উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন ও সারাদেশে রানার্স আপ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার মান অক্ষুন্ন রাখার পাশাপাশি কো-কারিকুলামেও জাতীয় পর্যায়ে পরিচিতি পেয়েছে। বিশেষ করে ভলিবল, বাস্কেটবল, সাঁতার প্রতিযোগিতা, কুচকাওয়াজ প্রদর্শন, ডিসপ্লে, উপস্থিত বক্তৃতা, বিষয়ভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কো-কারিকুলামে প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. বার্নাড তমাল মন্ডল ও অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডির সাথে আলাপকালে জানান, সু-নাগরিক হতে হলে পড়াশোনার পাশাপাশি কো-কারিকুলামে বিশেষ পারদর্শী হতে হবে। শুধু ভালো শিক্ষার্থী হলে চলবে না ভালো মানুষ হতে হবে। ভালো মানুষ হতে হলে ভালো মানসিকতা থাকতে হবে। দক্ষ কো-কারিকুলাম ব্যতিত কখনও কোন শিক্ষার্থীর পক্ষে ভালো মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ হওয়া সম্ভব নয়। মাদক, সন্ত্রাস প্রতারনা হতে শিক্ষার্থীদের দুরে রাখতে হলে কো-কারিকুলামে আকৃষ্ট করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই ভবিষ্যত প্রজন্মকে এগিয়ে নিচ্ছে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গত শনিবার প্রতিষ্ঠানের উন্মুক্ত মঞ্চে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন ও সারাদেশে রানার্স আপ এর ট্রফি বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, বগুড়া ওয়াইএমসিএ এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যক্ষ রবার্ট রবিন মারান্ডী, পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি মি. সৌরভ বিশ্বাস, ওয়াইএমসিএ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ভিভিয়ান রিওন মারান্ডী, উপাধ্যক্ষ আশের মাইকেল বেসরা, সহকারি প্রধান শিক্ষক দিবা শাখা পারভীন আকতারসহ প্রমুখ।