1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
নওগাঁর পতœীতলার চারটি ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত; পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন: গ্রেপ্তার ৪ - Uttarkon
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া উপজেলা নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখাই আমার লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আ’লীগের মূল লক্ষ্য : কাদের বিএনপি নেতারা হতাশ নয় : কাদেরকে রিজভী এলপিজির দাম আবারো কমলো মাছের বরফে তৈরি শরবতে প্রাণ জুড়াচ্ছেন নগরবাসী রাজশাহীর তানোরে হিমাগারে রাখা ভারতীয় আলুতে পচন ও গাছ স্থানীয় চাষিরা দিশেহারা আগামী আমন মৌসুম থেকে পালিশ (ছাটাই) বিহীন চাল বাজারজাত করতে মিলারদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে : খাদ্যমন্ত্রী তাপদাহে ক্লান্ত শ্রমজীবি ও পথচারীদের মাঝে সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়া’র শরবত বিতরণ বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ব্যারিস্টার এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে সাবেক এমপি লালুর শোক

নওগাঁর পতœীতলার চারটি ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত; পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন: গ্রেপ্তার ৪

  • সম্পাদনার সময় : বৃহস্পতিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০২২
  • ৮৪ বার প্রদশিত হয়েছে

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পতœীতলা উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ শেষে গণনা না করে দুটি কেন্দ্রের ব্যালট ও সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে রাস্তা অবরোধ করেন বিক্ষুপ্ত জনতা। এতে অবরোধকারি পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবরোধকারিদের উপর পুলিশ গুলি বর্ষণ করেন। এ সময় পতœীতলা থানার ওসি’র ব্যবহ্নত সরকারিসহ পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে পুড়িয়ে দিয়েছে হামলাকারীরা। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ৫ম ধাপের ইউপি নির্বাচনে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ঘোষনগর ইউনিয়নের কমলাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ঘোষনগর উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ব্যালট ও মালামাল নিয়ে ফেরত আসার পথে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দুই কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা আক্তার, ওই কেন্দ্রে প্রতিদ্বিন্দ্বীতাকারী ইউপি সদস্য প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা এ হামলা চালায় বলে জানা গেছে। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ফারজানা চৌধুরী ও কয়েকজন ইউপি সদস্য প্রার্থী বলেন, ভোট গণনা না করেই ব্যালট ও সরঞ্জাম নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তাই বিক্ষুপ্ত জনতা এ ঘটনা ঘটায়। তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা এ ধরণের হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেটের আঘাতে অন্তত ২০ জন মানুষ আহত হয়েছে। এদের মধ্যে শিশু ও নারীও রয়েছে। অন্যদিকে একই ভাবে ভোট গণনা শেষে ফলাফল কেন্দ্রে ঘোষণা না করে উপজেলার পতœীতলা সদর ইউনিয়নের মথুরাপুর, কৃষ্ণুপুর ইউনিয়নের পানিওড়া ও আকবর ইউনিয়নের মান্দাইন কেন্দ্রেও পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় জনতার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই তিনটি কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে।
প্রতিদ্বিন্দ্বী চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রর্থী এবং স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, ভোট গণনা না করেই ব্যালট ও মালামাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গণনা না করে ব্যালট ও মালামাল নিতে জনগণ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশ গুলি বর্ষণ করে। পতœীতলা সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওবায়দুল ইসলাম বলেন, এখানে নৌকার প্রার্থীর চেয়ে আমি প্রায় ১ হাজার ভোটে এগিয়ে আছি। নৌকার প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যালট বাক্স নিয়ে গিয়ে উপজেলা সদরে ফলাফল ঘোষণার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। ভোটের ফলাফল স্থগিত থাকা একটি করে কেন্দ্র ছাড়া বাঁকি কেন্দ্রগুলোতে কৃষ্ণপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম এগিয়ে আছেন। আকবর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ এগিয়ে আছেন। নওগাঁ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, পতœীতলার উপজেলার চারটি ইউনিয়নের পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের কারণে ওই সব ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। ওই সব কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে ভোট নেওয়া হবে। এরপর ওই চারটি ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা হবে। নওগাঁর পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, দুটি পুলিশ ভ্যানে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি গাড়ি পুলিশের রিকুইজিশন করা। বেশ কিছু ব্যালট বাক্সও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। হামলায় পুলিশের বেশ কিছু সদস্য আহত হয়েছেন। সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর এবং ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পতœীতলা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লিটন সরকার বলেন, ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষনা করা হয়েছে। বাঁকি ৪টি ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষের কারণে ওই সব ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশে ২টি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ফলাফল স্থগিত হওয়া পতœীতলা উপজেলার ওই চারটি ইউনিয়ন ছাড়া বাঁকি সাতটি ইউনিয়নের ফলাফলে দুটিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, তিনটিতে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বিন্দ্বীতা করা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এবং দুটিতে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বিন্দ্বীতা করা বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies