পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ক্রোক করা স্থাবর সম্পদ দেখভালে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ঢাকা মহানগর আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের ক্রোক করা স্থাবর সম্পদ দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগে আজ আদালতে আবেদন করে দুদক। আদালত শুনানি নিয়ে দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এ ছাড়া গুলশানের চারটি ফ্ল্যাটের সার্বিক অবস্থা জানাতে আজ নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানার পর এসব ফ্ল্যাট দেখভালের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেবেন আদালত।
পিপি মাহমুদ হোসেন আরো জানান, পূর্ণাঙ্গ আদেশ হাতে পাওয়ার পর জানা যাবে, কোন সম্পত্তি কোন সংস্থাকে দেখভালের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুর্নীতি–অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধান করছে দুদক। দুদকের এখন পর্যন্ত পাওয়া সম্পদ আদালতের আদেশে জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আইজিপি থাকা বেনজীর এর আগে র্যাবেরও মহাপরিচালক ছিলেন।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে র্যাব এবং র্যাবের সাবেক ও বর্তমান যে সাত কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাদের মধ্যে বেনজীর আহমেদের নামও ছিল।