সরকার অনেককে ডিঙিয়েই আজিজ আহমেদকে সেনাপ্রধান করেছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (৫ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে যিনি পুলিশের প্রধান তিনিও কিন্তু স্যাংশন প্রাপ্ত। নয়জনকে স্যাংশন দিয়েছে বেনজীরসহ। এই হচ্ছে সরকারের অবস্থা। সাবেক সেনাপ্রধান আজিজকে অনেককে ডিঙিয়ে সেনাপ্রধান করা হয়েছে। তার দুই ভাই চিহ্নিত সন্ত্রাসী, তবুও তাকে এই আর্মির চিফ করা হয়েছিল। আর তাদের (আজিজ, বেনজীর) যে কাজ তা তারা করে দিয়েছিল, নির্বাচন পার করে দিয়েছিল।’
মহাসচিব বলেন, ‘কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী ভয়ঙ্কর একটা কথা বলেছেন। তিনি বলেছে, সাদা চামড়ার লোকেরা নাকি এখানে (বাংলাদেশে) এয়ারবেজ তৈরি করতে চায়। আর বাংলাদেশের একটা অংশ, চট্টগ্রাম ও মিয়ানমারের একটা অংশ নিয়ে নাকি খ্রিস্টান রাষ্ট্র করতে চায়। আমি গতকাল বলেছি, আজকে আবার বলছি, প্রধানমন্ত্রীর উচিত হবে এই মুহূর্তে জনগণের সামনে এটার প্রকৃত ব্যাখ্যা করা। তারা (বিদেশী) কেন এটা চাইছে আর কেনইবা এত দেরিতে আপনারা এটা প্রকাশ করছেন সেটা আমরা জানতে চাই। কারণ এটা আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন।’
তিনি বলেন, ‘সরকার একদলীয় শাসনের লক্ষ্যে গণতন্ত্রের একটা মাসাদ তৈরি করছে। কিন্তু গণতন্ত্র তারা বিশ্বাস করে না। আজকে যারা বিরোধী কথা বলে, তাদেরকে তুলে নিয়ে যায়। তাদেরকে সরাতে না পারলে কিন্তু স্বাধীনতা থাকবে না, সার্বভৌমত্ব থাকবে না। আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।’
এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ওবায়দুল ইসলাম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল প্রমুখ।