দেশে আইন ও ন্যায়বিচার ব্যবস্থা থাকলে সরকারের টপ টু বটম কারাগারে থাকতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, কিসের আইনি প্রক্রিয়া, আওয়ামী ও গোপালগঞ্জ প্রক্রিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার বিকেলে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। রিজভী বলেন, গণতন্ত্রকে অস্বীকার করে ডামি সরকার রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামীকরণের মাধ্যমে জনগণকে ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী ফ্যাসিজমের ছায়া—উপচ্ছায়া দেশের ওপর বিস্তারলাভ করেছে। আওয়ামী লীগ কখনোই জনকল্যাণে ইতিবাচক রাজনীতি করেনি। খুন, রক্তপাত, সহিংসতা, দখল, টাকা পাচার আর অনর্গল মিথ্যা কথা বলাই আওয়ামী লীগের রাজনীতি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব আজই বলেছেন—‘আজিজ, বেনজীর আমাদের লোক নয়। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কেউ দুর্নীতিবাজ নয়’। শীর্ষ নেতারা দুর্নীতিবাজ না হলে মাঝারি নেতারা তাহলে দুর্নীতিবাজ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনি (ওবায়দুল কাদের) কি ডানে-বামে তাকিয়ে কথা বলছেন, নাকি আপনাদের স্বভাবসূলভ ডাহা মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন…। বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বেনজীর যখন বন্দুকের ভাষায় কথা বলতেন তখন তো তাকে অস্বীকার করেননি। বেনজীর-আজিজদের দুর্নীতির দায় আপনারা কখনোই এড়াতে পারবেন না। এ দায় এড়াতে পারে না সরকার। বেনজীর-আজিজের দায় এই সরকারের।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ক্ষমতা দখলে রেখে অনন্তকাল অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার অসৎ অভিপ্রায়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিনাশ করার জন্য সরকার তার প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বেনজীর-আজিজদের ব্যবহার করার পাশাপাশি বড় হাতিয়ারে পরিণত করেছে বিচার বিভাগকে। যে বিচারালয় ছিল মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, সেই বিচারাঙ্গনকে পরিণত করা হয়েছে আওয়ামী স্বর্গ আর বিরোধীদের জন্য আতঙ্কপুরীতে।
তিনি বলেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা, শরীয়তপুর-৩ (গোসাইরহাট—ডামুড্যা—ভেদরগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের জনপ্রিয় প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন অপুকে গত প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর কারারুদ্ধ রেখে তার ওপর চলছে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের প্রতিহিংসাপরায়ণতার চরম হিংস্রতা। গুরুতর অসুস্থ অপুর জীবন হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন সাজানো মামলায় কারাগারে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে অপুকে। যেসব মিথ্যা মামলায় অপুকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে তার কোনোটিই প্রমাণ করতে পারেনি আজ্ঞাবহ আদালত। যে মামলায় তাকে আটক রাখা হয়েছে একই ধারার মামলায় আওয়ামী লীগের নেতা-সন্ত্রাসী, লুটেরা-ব্যবসায়ীরা জামিনে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর অপুর মামলায় জামিনের শুনানি করার তারিখও দিচ্ছে না আদালত। মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপুকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকিয়ে জামিন না দেয়া অমানবিক ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাত ১ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ দেশের এক পঞ্চমাংশ জনগোষ্ঠীর পূর্নবাসনে সরকার কোনো কার্যকর উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যা অতি দুংখ ও বেদনাদায়ক জানিয়ে মৎস্যজীবি দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম বলেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসাথে ১৯টি জেলায় ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে সরেজমিনে পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি।