1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা, সেনাসদস্য আটক - Uttarkon
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মরহুম সংসদ সদস্য সিরাজুল হক তালুকদার এর আজ ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী একনেকে ১ হাজার ২২২ কোটি ১৪ লাখ টাকার ৪টি প্রকল্প অনুমোদন আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু, একদিনে ৬ জনের মৃত্যু হাসপাতাল থেকে বাসায় খালেদা জিয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেয়া প্রকল্প পুনর্বিবেচনা করা হবে : প্রধান উপদেষ্টা আমরা সরকারকে সময় দিতে চাই : মির্জা ফখরুল গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি-সাংবাদিকদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে : নাহিদ ইসলাম গুটি কয়েক মানুষ ছাড়া স্বৈরাচার হাসিনার সময় সবাই বৈষম্যের শিকার হয়েছে : নজরুল ইসলাম সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার সুফল পাবে জনগণ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাভারে হাসিনার বিরুদ্ধে একই দিন ২টি হত্যা মামলা

বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা, সেনাসদস্য আটক

  • সম্পাদনার সময় : রবিবার, ২ জুন, ২০২৪
  • ৫৮ বার প্রদশিত হয়েছে

বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে স্ত্রী-সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বস্তাবন্দী করে কক্ষে রেখে পালানোর সময় এক সেনাসদস্যকে আটক করা হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেল থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। আটক সেনাসদস্য আজিজুল হক (২৪) বগুড়ার ধুনট উপজেলার হেউটনগর গ্রামের হামিদুল হকের ছেলে। তিনি সেনাসদস্য হিসেবে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত আছেন। তাঁর স্ত্রী আশামনি (২১) বগুড়া শহরের নারুলী তালপট্টি এলাকার আসাদুল ইসলামের মেয়ে। তাঁদের সন্তান ১১ মাস বয়সী আব্দুল্লাহেল রাফী। শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে আজিজুল নিজেকে মিরাজ এবং তার স্ত্রীকে তমা এবং তাদের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ পরিচয় দিয়ে হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আজিজুল হক রুমে ছেড়ে দেবে বলে ভাড়া পরিশোধ করতে চান। এ সময় হোটেলের ব্যবস্থাপক তাঁর স্ত্রী-সন্তান কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন তারা সকালে চলে গেছে। এ সময় ব্যবস্থাপক কক্ষ দেখে বুঝে নেওয়ার কথা বললে আজিজুল হক স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এ সময় ব্যবস্থাপক তাঁকে আটক করে থানায় খবর দেন। এদিকে আশামনির বাবা আসাদুল বলেন, ‘তিন বছর আগে আজিজুলের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়ে সন্তান প্রসবের আগে থেকেই আমার বাড়িতে থাকে। জামাই দুই মাসের ছুটিতে বাড়ি আসে। রোববার তার কর্মস্থলে চলে যাওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার জামাই আমার বাড়ি আসে। সেখানে দুই দিন থাকার পর শনিবার বিকেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শহরে মার্কেট করার জন্য বের হয়।’ আসাদুল আরও বলেন, ‘রাত ১০টার দিকে জামাই আমাকে ফোন করে জানায়, রাত ৮টার দিকে স্ত্রী-সন্তানকে নারুলী যাওয়ার জন্য রিকশায় তুলে দেয়। কিছুক্ষণ পর থেকে স্ত্রীর ফোন বন্ধ পাচ্ছে। আজ সকালে মেয়ের সন্ধান চেয়ে শহরে মাইকিং করার ব্যবস্থা করি। সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে বনানীতে হোটেলে মা এবং সন্তানের লাশ উদ্ধারের খবর পাই।’

এদিকে পুলিশ হোটেলে পৌঁছে সেনাসদস্য আজিজুল হককে হেফাজতে নেওয়ার পর তিনি পুলিশের কাছে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম বলেন, রাতে যেকোনো সময় আজিজুল তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে কক্ষের টয়লেটে রাখে এবং ছেলের মাথা বিচ্ছিন্ন করে সকালে করতোয়া নদীতে ফেলে দেয়। পুলিশের একটি দল মাথা উদ্ধারের জন্য আজিজুলকে সঙ্গে নিয়ে নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে। কক্ষ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি রামদা ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আজিজুল হক পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক বলেছেন, দাম্পত্য কলহের কারণে তিনি স্ত্রী-সন্তানকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies