1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রী - Uttarkon
শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
জেহাদের আত্মত্যাগের প্রেরণায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে : তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমবে, পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি, গণতন্ত্র এখনো পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি : নজরুল ইসলাম পলাতক ও ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে : মাহমুদুর রহমান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ জেহাদ এক চিরস্মরণীয় নাম : মির্জা ফখরুল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাকে প্রটেকশন দিচ্ছে : প্রশ্ন রিজভীর বগুড়ায় নির্বিঘ্নে শারদ উৎসব উদযাপিত হচ্ছে- পৌর প্রশাসক মাসুম আলী রায়গঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৬ জনের কারাদন্ড ধুনটে পূজা মন্ডপে ছাত্রদলের হেল্প-ডেস্ক মনিটরিং কমিটি গঠন গাবতলীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রোল মডেল : প্রধানমন্ত্রী

  • সম্পাদনার সময় : বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪
  • ৩১ বার প্রদশিত হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনা সংলাপের মাধ্যমে সকল দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসন, চলমান যুদ্ধ বন্ধ এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ মানবজাতির কল্যাণে ব্যয় করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্টার প্রচেষ্টায় একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম। আমরা সর্বজন স্বীকৃত এবং বিশ্বের বুকে একটি রোল মডেল।’ প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার পররাষ্টনীতি ’সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়’, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অঙ্গীকার ও আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসরণ করে বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘের ‘ব্লু হেলমেট’ পরিবারের সদস্য হয়। সরকার প্রধান বলেন, বর্তমানে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ১৩টি স্থানে ৪৯৩ জন নারীসহ ৬০৯২ জন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী সুনামের সাথে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীরা যেখানে কাজ করছে সেসব রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা তাদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রশংসা শুনে গর্বে আমার বুকটা ভরে যায়।’

শেখ হাসিনা বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম। আমরা সর্বজন স্বীকৃত এবং বিশ্বের বুকে রোল মডেল। এই অর্জনের পেছনে রয়েছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর টেকসই পরিশ্রমী নিবেদিত প্রাণ সদস্যদের মহান আত্মত্যাগ ও অমূল্য অবদান।

তিনি ১৬৮ বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের অবদানের কথা স্মরণ করেন যারা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মত্যাগ করেছেন এবং ২৬৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

শান্তিরক্ষায় অবদান রাখতে গিয়ে আত্মোৎসর্গকারীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তাদের পরিবারের সদস্যদেরও সমবেদনা জানান তিনি। স্বজন হারাবার বেদনা যে কি, তিনি তা জানেন বলেও এ সময় উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতিসঙ্ঘ শাস্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ৩৬ বছর উদযাপন করছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বৃহৎ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ এবং সকলে অত্যন্ত সুনাম ও গৌরবের সাথে কাজ করে চলেছেন। তিনি এ সময় বিশ্বের নানা প্রান্তে কর্মরত সকল বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের শুভেচ্ছা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আমরা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়াও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতেও আমরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও অবদান রাখছি।

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ জাতিসঙ্ঘে ‘কালচার অব পিস’ (শাস্তির সংস্কৃতি) প্রস্তাব উত্থাপন করে যা ১৯৯৯ সালে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সেই থেকে প্রতিবছর জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের ‘ফ্লাগশিপ রেজ্যুলেশন’ এই ‘কালচার অব পিস’ সর্বস্মতিক্রমে গৃহীত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে জাতিসঙ্ঘ ২০০০ সালকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব কালচার অব পিস’ হিসেবে ঘোষণা করে। যার মাধ্যমে শান্তির সংস্কৃতি প্রস্তাবের ২৫ তম বর্ষ উদযাপিত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে কালচার অব পিস প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য বলে আমার বিশ্বাস।’

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জাতিসঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা মিশনে আহতদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।

তিনি ইউএন পিস কিপার্স জার্নাল -এর (১০ম ভলিউম) মোড়কও উন্মোচন করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মত্যাগকারী বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জাতিসঙ্ঘ মিশনে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের কৃতিত্বের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র ও প্রদর্শন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে কর্মরত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সূত্র : বাসস

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies