উত্তরকোণ ডেস্ত : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যে বিভাজনের রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি। রোববার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় নেতারা বলেন, বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার নিজেই এ ধরনের সাম্প্রদায়িক সংকট সৃষ্টি করছে। প্রতিটি ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকরী ব্যবস্থা না নেওয়ায় পরিস্থিতি জটিলতর হয়েছে। সভায় দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন শরিফের অবমাননা এবং পরে শাসক শ্রেণির মদদপুষ্ট দুষ্কৃতকারীদের পূজামণ্ডপে আক্রমণ, ভাঙচুর এবং তার জেরে চাঁদপুর, গাজীপুর, নোয়াখালীর চৌমুহনী, চট্টগ্রাম, ঢাকায় পুলিশের নির্বাচারে গুলিবর্ষণ এবং নিরীহ পথচারী শিশুসহ কয়েকজনের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিএনপি নেতারা মনে করেন, রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির কারণেই এ রক্তপাত, লুটতরাজ চলছে। সনাতন ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা। এ ছাড়া সভায় সব ধর্মের মানুষের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করা হয়। সেই সঙ্গে দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় জানানো হয়, উপদ্রুত এলাকাগুলোতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনাগুলোর তদন্ত করার জন্য সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলের নেতৃত্বে আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুটি কমিটি অতিদ্রুত ওই সব এলাকায় সফর করে কেন্দ্রে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।