উত্তরওকাণ ডেস্কঃ নিরাপদ শারীরিক দূরত্বের ব্যবস্থাপনা ছাড়াই সৌদি আরবের মক্কার মসজিদুল হারাম পুরোদমে চালু করা হয়েছে। আজ রোববার ফজর থেকেই মসজিদের পূর্ণ ধারণক্ষমতায় মুসল্লিরা মসজিদে এসে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নামাজ আদায় করছেন।
এর আগে শুক্রবার সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদীনার মসজিদে নববী রোববার থেকে পুরোদমে চালু করার ঘোষণা করা হয়। গত বছরের মার্চে সৌদি আরবে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের শনাক্তের পর দেশটিতে কঠোর লকডাউন দেয়া হয়। লকডাউনের অংশ হিসেবে তখন মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববী পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়। সাত মাস পর অক্টোবরে মসজিদ চালু করা হলেও মোট ধারণক্ষমতার চেয়ে কম মুসল্লি নিয়ে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করা হতো।
রোববার মসজিদে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দানকারী চিহ্ন মুছে ফেলা হয়।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থাপনা শিথিল করা এবং মসজিদুল হারামের পুরো ধারণক্ষমতার পরিমাণ মুসল্লি ও জেয়ারতকারীদের আসার সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্তের আলোকে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
করোনাভাইরাস মহামারীর জেরে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ১৭ মাস পর নতুন করে পুরোদমে মসজিদুল হারাম আবার চালু হলো।
তবে মসজিদে প্রবেশের জন্য সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরতে হচ্ছে।
শুক্রবারের সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছিলো, মসজিদ পূর্ণ ধারণক্ষমতায় চালু করা হলেও আগের মতোই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এতমারনা ও তাওয়াক্কালনা অ্যাপের মাধ্যমেই পবিত্র দুই মসজিদে প্রবেশের অনুমতি নিতে হবে।
বর্তমানে যারা করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকার দুই ডোজই নিয়েছেন, তাদেরকেই মসজিদে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।
মসজিদ পূর্ণ ধারণক্ষমতায় চালু করা হলেও পবিত্র কাবাঘর এখনো ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। মুসল্লিদের জন্য এখনো তা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়নি।
এদিকে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী রোববার থেকে সৌদি আরবে প্রকাশ্যে উন্মুক্ত স্থানে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়া হয়েছে। তবে অফিস-আদালতে আবদ্ধ জায়গায় মাস্ক পরে থাকার বিধান অব্যাহত রয়েছে।
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, সৌদি আরবে করোনা মহামারীর হার লক্ষণীয়ভাবে কমে আসায় এবং দেশটির বাসিন্দাদের বিপুল মাত্রায় টিকা গ্রহণের কারণে রোববার থেকে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে নেয়াসহ করোনাভাইরাস সংক্রমণের সতর্কতায় বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা শিথিল করা হয়েছে।
গত বছরের মার্চে প্রথম সৌদি আরবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হয়। দেশটিতে এই পর্যন্ত পাঁচ লাখের বেশি ভাইরাস সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণে সৌদি আরবে মোট আট হাজার সাত শ’ ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সূত্র : আলজাজিরা