উত্তরকোণ ডেস্ক: পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে লঘুচাপ। এর প্রভাবে রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র বিরাজ টানা কয়েক দিনের গরমে অস্বস্তির মাত্রা বেড়েছে। হিম হিম হেমন্ত দুয়ারে। তবু আশ্বিনের শেষে শুক্রবারও গরমে হাঁসফাঁস নাগরিক জীবন। ঋতু পরিবর্তনের এমন সময়ে কয়েকদিন পরে বৃষ্টির আভাস রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, আশ্বিনের শেষ সময়ে সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে এমন গরম অনুভূত হচ্ছে। এটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন বলেন, আর বাতাসে আর্দ্রতা বেশি ও সাগরে লঘুচাপ থাকায় ভ্যাপসা গরম বিরাজ করছে। তাপপ্রবাহ বয়ে না গেলেও রাজধানীসহ কোথাও কোথাও গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বগুড়ায় ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দস জানান, লঘুচাপ আজ শনিবার দুর্বল হয়ে যাবে, আকাশ পরিষ্কার থাকলে রাতের তাপমাত্রাও কমবে। তিনি বলেন, ‘আগামী ৫-৬ দিন ভ্যাপসা গরম আবহাওয়া বিরাজ করবে। কারণ, কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হলেও তেমন বেশি বৃষ্টি থাকবে না।’ অন্তত তিন দিন বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করলেই তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। বিক্ষিপ্তভাবে কোনো এলাকায় গরম বেশি থাকলেও আপাতত কোথাও তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে না বলে জানান এ আবহাওয়াবিদ। আবহাওয়াবিদরা জানান, দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বিদায় নিয়েছে। মৌসুমী বায়ু দেশের অন্যত্র কম সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাজশাহী, যশোরে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আফতাব উদ্দিন জানান, এটি আরো পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। লঘুচাপটি আরো ঘনীভূত হওয়ার শঙ্কা নেই। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টির আভাস থাকলেও ভ্যাপসা গরম সহ্য করতে হবে দুয়েকদিন। এ আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। লঘুচাপ কেটে গেলেই বৃষ্টি বাড়বে, স্বস্তি আসবে। ১৮-২০ অক্টোবর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে।’