বগুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা। আজ শুক্রবার বিকাল ৪টা থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিমা নিয়ে জেলা সদরের করতোয়া নদীতে বিসর্জন দেয়া হয়। বগুড়া শহরে বিসর্জনের আগে সনাতন ধর্মাবলম্বিরা নেচে গেয়ে তাদের ধর্মকার্য সম্পন্ন করে। সনাতন ধর্মালম্বীরা দুপুরে নাচ, গান, সিঁদুর খেলা, বিজয়ার শোভাযাত্রা ও বিকাল থেকে সন্ধ্যায় বিসর্জন দেয় প্রতিমাগুলো। এসময় তাদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়। মন্দিরে মন্ডপে ছিল ভক্তদের প্রচুর ভিড় এই ভিড়ের মধ্যেই একে অপরের সাথে তারা সিঁদুরে রাঙিয়ে যায়। জেলা শহরের মালতীনগর, জলেশ্বরীতলা, চেলোপাড়া, বেলতলা, উত্তরচেলোপাড়া, সেউজগাড়ী, দত্তবাড়ি, ফুলবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার মন্দির ও মন্ডপের প্রতিমাগুলো করতোয়া নদীর বিভিন্ন ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেয়। বিসর্জন দেয়ার সময় ট্রাকে করে মাইকে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে নাচতে নাচতে ভক্তরা প্রতিমাগুলো বিসর্জন দিতে যায়। বিসর্জনে হিন্দু ধর্মালম্বী নারী পুরুষ ট্রাকে, ভ্যানে, করে নাচতে নাচতে গাইতে গাইতে প্রতিমা নিয়ে যায়। বগুড়া শহরের এসপি ঘাটে বিকাল থেকে প্রতিমাগুলো একের পর এক আসতে থাকে। সেখানে প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিমা বিসর্জন দিতে দেখা যায়। এছাড়া করতোয়া নদীর চেলোপাড়া, বেজোড়া এলাকায় প্রতিমা বিসর্জন দেয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে প্রতিমা বিসর্জন দিতে দেখা যায়। এদিকে বগুড়ার শেরপুর, শাজাহানপুর, গাবতলী, ধুনট, শিবগঞ্জ, নন্দীগ্রাম, কাহালু ও সারিয়াকান্দী উপজেলাতেও একাই নিয়মে প্রতিমাগুলো বিসর্জন দেয়া হয়েছে। জেলা ও পুলিশ প্রশাসন থেকে নেওয়া হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইন শৃংখলা বাহীনির পাশাপাশি বগুড়ায় দুই প্লাটুন বিজিবি সদস্য কর্তব্যরত ছিল। এছাড়াও মন্দির মন্ডপের বিপুল পরিমাণ স্বেচ্ছাসেবী থাকায় কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। এদিকে, জুম্মার নামাজের আগে থেকে বগুড়া শহরে পুলিশ সদস্যদের কড়া নিরাপত্তায় দেখা যায়। বিভিন্ন মসজিদে পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার সাথে অবস্থান নিতেও দেখা যায়।