উত্তরকোণ ডেস্ক : কুমিল্লার ঘটনা সরকার পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ব্যর্থতা আড়াল করে বিশ্বে নিজের ভাবমূর্তি ভালো করার জন্য সরকার এটা করেছে। আজ শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের উদ্যোগে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, ‘কুমিল্লার ঘটনা ঘটানোর কারণ হলো আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা, গণতন্ত্রহীনতা আর জোর-জবরদস্তি করে ক্ষমতা দখল করে থাকার জায়গা থেকে বিশ্বে নিজের ভাবমূর্তি ভালো দেখানো। তারা দেখাচ্ছেন, এই দেশে সাম্প্রদায়িক যাই হোক আমরা কঠোরহস্তে দমন করতে পারি। কাল থেকে প্রধানমন্ত্রী ও অন্য মন্ত্রীরা তা-ই বলছেন। তার মানে কুমিল্লার ঘটনা পরিকল্পিত, সাজানো ও চক্রান্তমূলক।’ রিজভী বলেন, ‘এশিয়ার মধ্যে চালের দাম এখন সবচাইতে বেশি বাংলাদেশে। পেঁয়াজ, মরিচ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর দাম হু-হু করে বাড়ছে। গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এটা সরকারের নিয়ন্ত্রণের কথা দূরে থাক সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র নেই, কথা বলার অধিকার নেই, ভোটের অধিকার নেই। তার উপর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়াচ্ছে। আর এটা থেকে দেশের জনগণের দৃষ্টি সরানোর জন্য কুমিল্লার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’ বলে মন্তব্য করেন তিনি রিজভী বলেন, ‘আমাদের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায় আমাদের অতীত ঐতিহ্য অনুযায়ী বন্ধুত্বের বন্ধনীর মধ্য দিয়ে যে কোনো উস্কানি রুখব। আমাদের দৃঢ় বন্ধন আমরা বজায় রাখব। এই সরকারের উস্কানির মুখে আমরা কেউ কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবো না। কারণ আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির।’ রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধের ব্যাপারে জাতীয় প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘প্রেস ক্লাব মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার একটি জায়গা। গণতন্ত্রকামী মানুষ প্রেস ক্লাবের দাঁড়িয়ে তাদের অধিকারের কথা বলতে পারে। আর সাংবাদিকরা দু’লাইন হলেও লিখতে পারে। কিন্তু এ ধরনের সিদ্ধান্ত বিরল ঘটনা।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে সভা করতে নিষেধ করা হয়েছে এর একটি কারণ হলো দেশে গুম, খুন, হত্যা ঘটবে, কিন্তু তোমরা কোনো কথা বলতে পারবে না। মানববন্ধন করতে পারবে না। প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে কোনো সভা করতে পারবে না। কথা বলার জন্য যে ন্যূনতম জায়গা ছিল আজ সেটাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’ আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এহসানুল হক হুদার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।