উত্তরকোণ ডেস্ক : কুমিল্লায় মন্দিরে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ডিসি মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা পবিত্র কোরআনের মর্যাদা বুঝি। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা আমাদের বলেছেন, পূজা বন্ধ রাখতে। আমরা তাদের পূজা চালিয়ে যেতে বলেছি। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ইসলামেও কারও ধর্ম পালনে বাধা দেওয়ার বিধান নেই।’ জানা গেছে, কুমিল্লা জেলা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (ডিএসবি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফজাল হোনের নেতৃত্বে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে আরও ২ সদস্য। এরআগে কুমিল্লায় গতকাল বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় পূজামণ্ডপে বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটিও। এ ঘটনায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার বিষয়ে একটি খবর আমাদের কাছে এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, কুমিল্লা শহরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে তৈরি একটি মণ্ডপে কোরআন অবমাননার অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনায় বুধবার সকালে পুলিশ ও বিক্ষুব্ধদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।