উত্তরকোণ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্থানীয় নির্বাচনে অনিয়ম করে যারা প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন বা পাঠাবেন, খোঁজ-খবর নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ শুক্রবার নিজ সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো বিদ্রোহী প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন, তাদের ভবিষ্যতে কোনো পদ-পদবি ও মনোনয়ন দেবে না আওয়ামী লীগ। ‘বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা চলছে’ বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের মানুষ জানে, কারা বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়। কথায় কথায় যারা দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, যারা বিদেশি দূতাবাসের বন্ধ দরজায় ফুল আর মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষা করে, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করে, তারাই বাংলাদেশকে নতজানু রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায়।
বিএনপিই তাদের কর্মকাণ্ডের দ্বারা বিদেশিদের কাছে দেশের ইমেজ নষ্ট করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অপরদিকে আওয়ামী লীগ দেশের ইমেজ বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপির গণ-আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জনগণ এখন তাদের এ গণ-আন্দোলনের আহ্বানের ডাক শুনলে হাসে। কারণ, ১৩ বছর বিএনপি বহুবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে কিন্তু জনগণ তো দূরের কথা তাদের নেতাকর্মীরাই সাড়া দেয়নি।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে বলেন, দেশে এ মূহূর্তে গণ-আন্দোলনের বস্তুগত কোনো উপাদান নেই। অতীতের মতো এবারও জনগণ আপনাদের ডাকে সাড়া দেবে না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল বহুদলীয় তামাশা।’ ‘সরকার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়’ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি একদিকে ভোটে আসবে না, আবার নির্বাচিত হয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম সংসদে যাবেন না, সংসদেতো বিএনপির প্রতিনিধিও রয়েছে। তাহলে একদলীয় শাসন হয় কীভাবে? বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের মুখোশের আড়ালে যা করেছিল জাতি তা ভুলে যায়নি।’