কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে নির্মাণের পরের বছরেই বন্যায় সেতু ভেঙে গিয়ে কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার অবনতি হয়েছে। নির্মাণকৃত সেতুটি ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসীর উদ্যোগ একটি সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছেন। তবে এই নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে প্রায়ই দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ভাঙা সেতুটি দিয়ে পাত্রখাতা,ব্যাপারীপাড়া, মাদারীপাড়া, ডাংগারচর সহ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঐএলাকার হাবিবুর রহমান (২৪) বলেন, সেতু পার হতে সাঁকো ভেঙে পরে মাথা ফাটছে, মাথায় ৬টা সেলাই পড়ছে। আল্লাহ রহমতে বেচে গেছি। স্থানীয় শরিফুল ইসলাম (৫০), আবুল কাশেম (৪০) বলেন, বন্যা হলে গরু, ছাগল নিয়ে চলাচল করতে কষ্ট হয়। শুকনা মৌসুমেও সাঁকো ছাড়া সেতুতে উঠা যায় না। তাই এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সাঁকো দেয়া হয়েছে। ৪৫বছরের এক মহিলা বলেন, আপনারা শুধু ছবি তুলে নিয়ে যান কিন্তু সেতুর তো কোন কাজ হয় না। এইভাবে আর কত দিন চলাচল করা যায়! জানা গেছে, উপজেলার রমনা ইউনিয়নের পাত্রখাতা ব্যাপারীপাড়া এলাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ কোহিনুর রহমান বলেন, জাইকাতে একটি প্রস্থাপনা পাঠানো হবে ব্রীজ পূর্ণ নির্মাণ ও রাস্থার জন্য।