নিউজ ডেস্ক: আবারও আলোচনায় আইসিআইজে। পানামা পেপার্স, প্যারাডাইস পেপার্সের পর এবার ‘প্যান্ডোরা পেপার্স’ প্রকাশ করেছে তারা৷ বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী কয়েকজন রাজনীতিবিদ, ধনী ব্যক্তি ও তারকার গোপন সম্পদ ও তথ্য প্রকাশ করেছে তারা। এদের মধ্যে বর্তমান ও সাবেক প্রেসিডেন্টসহ ৩৫ জন বিশ্ব নেতার নাম রয়েছে। আছে ৯০টিরও বেশি দেশের ৩০০-র বেশি কর্মকর্তার নাম যাদের মধ্যে মন্ত্রী, বিচারক, মেয়র ও সামরিক জেনারেলের নাম। এছাড়া ১০০-র বেশি বিলিওনেয়ারের তথ্যও প্রকাশ করেছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন আইসিআইজে। কর ফাঁকি দিতে ধনী ব্যক্তিদের অফশোর অ্যাকাউন্ট খুলতে সহায়তা দেয় এমন ১৪টি সংস্থার কাছ থেকে প্রায় ২.৯৪ টেরাবাইট তথ্য (১ কোটি ১৯ লাখ ফাইল) পেয়েছিল ‘ইন্টারন্যাশনাল কনসর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস’ বা আইসিআইজে। এরপর সেগুলো যাচাই করতে তারা ডয়চে ভেলের তুর্কি বিভাগসহ বিশ্বের ১১৭টি দেশ ও অঞ্চলের ১৫০টি গণমাধ্যমের ছয়শর বেশি সাংবাদিককে সেই তথ্য নিয়ে কাজ করার সুযোগ দেয়। সাংবাদিকরা প্রায় ২ বছর ধরে অনুসন্ধান করার পর প্যান্ডোরা পেপার্স প্রকাশিত হয়েছে। জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ, আইভোরি কোস্ট ও চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী, ইকুয়েডর, কেনিয়া ও গ্যাবনের প্রেসিডেন্টের নাম এসেছে প্যান্ডোরা পেপার্সে। আছে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, এল সালভেদর, পানামা, প্যারাগুয়ে ও হন্ডুরাসের সাবেক প্রেসিডেন্টের নাম। তারকাদের মধ্যে পপস্টার শাকিরা, ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকার, স্প্যানিশ ফুটবল কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা, ইতালীয় ফুটবল কোচ কার্লো আনচেলোত্তি, আর্জেন্টিনার ফুটবলার আনহেল ডি মারিয়ার নাম জানা গেছে। এছাড়া একশোর বেশি বিলিওনেয়ারের নামও রয়েছে প্যান্ডোরা পেপার্সে। আইসিআইজে বলছে, প্যান্ডোরা পেপার্সে প্রকাশিত ৩৩৬ জন রাজনীতিকের মধ্যে পাকিস্তানের ৭ জন, ভারতের ৬ জন, নেপালের ১ জন ও শ্রীলঙ্কার ২ জন রয়েছেন। বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়ার কারও নাম সেখানে নেই। বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার একটি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালে আইসিআইজের প্রকাশিত পানামা পেপার্সে প্রায় দেড় ডজন বাংলাদেশির নাম এসেছিল। এরপর ২০১৭ সালে একই সংস্থার প্রকাশিত প্যারাডাইস পেপারে মুসা বিন শমসেরসহ আরও দেড় ডজন বাংলাদেশির নাম ছিল। প্যান্ডোরা পেপার্সের অন্যতম মিডিয়া পার্টনার ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন ধরে গার্ডিয়ানসহ অন্যান্য গণমাধ্যম তাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করবে৷ শুরুটা হয়েছে বিশ্বের কয়েকজন ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদের তথ্য প্রকশের মধ্য দিয়ে।