ঢাকা: ছয় দিনের ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে দলের নির্বাহী কমিটির সভা শেষ করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলের করণীয় ঠিক করতে দলীয় নেতাদের মতামত নিতে এই নির্বাহী কমিটির সভা ডাকেন তিনি।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে শেষ দিনের রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সংগঠনের অবস্থা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কী করা যেতে পারে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে গণতন্ত্রের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বাংলাদেশের মুক্তি এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
‘যারা আলোচনা করেছেন তাদের সব বক্তব্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এরপরে আমাদের দলের নীতিনির্ধারণীয় সভায় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে এবং তখন আপনারা জানতে পারবেন আমরা কী ধরনের কর্মসূচি গ্রহন করবো।’
গত ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় ধারাবাহিক বৈঠক। প্রথম দফায় তিন দিনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সম্পাদক মণ্ডলী এবং ৯টি অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে বৈঠক হয়।
এরপর গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে তিন দিন নির্বাহী কমিটির সদস্যদের ধারাবাহিক বৈঠক হয়। বৃহস্পতিবার শেষ দিনে খুলনা, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে নির্বাহী কমিটির ৮৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
দুই দফার ধারাবাহিক বৈঠকে ৪৯১ জন সদস্য অংশ নেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৩’শ জন বক্তব্য রাখেন। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রয়ারি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার পরে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাথে এটাই তারেকের প্রথম বৈঠক।
২০১৬ সালের ১৯ মার্চ ষষ্ঠ কাউন্সিলের পর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গঠিত নির্বাহী কমিটির বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৫০২ জন।
সর্বশেষ দলের নির্বাহী কমিটির সভা হয় ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছিলেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুর্নীতি দমন কমিশনের দুই মামলার সাজায় কারাবন্দী হওয়ায় কয়েকদিন আগে তিনি নির্বাহী কমিটির জরুরী সভা ডাকেন।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ছয় দিনের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন তারেক রহমান। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা স্বশরীরের উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টা থেকে ছয় ঘন্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।