ঢাকা : দেশ পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশ পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী সরকার দেশকে এক ভয়াবহ অরাজকতার অন্ধকার গহব্বরে ঠেলে দিয়েছে। সমগ্র দেশটাই এখন বন্দীশালায় পরিণত হয়েছে। করোনা মহামারীর সময়েও বিরোধী দলগুলোর নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরী করে মামলা দায়ের ও কারান্তরীণের ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা জেলা দক্ষিণ শাখার সদস্য সচিব পারভেজ হোসেন পাভেল মোল্লা এবং বাজিতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভায় পুলিশী হামলার পর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রণি ভূঁইয়া, যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা আলী জাহানগীর, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আফজালকে গ্রেফতার, থানা বিএনপি’র সদস্য সচিব মনির হোসেনসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা দায়ের ও নিকলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা বানচাল করে দেয়া বর্তমান জনবিচ্ছিন্ন সরকারের ধারাবাহিক অপকর্ম থেকে কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি গণবিরোধী সরকারের চলমান দমন নীতিরই ধারাবাহিকতা।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রতিটি মূহুর্ত আতঙ্কে রয়েছে বলেই বিরোধী দলের যেকোন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচালে সরকার এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দেশে বর্তমানে যে দুঃশাসন কায়েম হয়েছে তাতে রাজনীতি করার গণতান্ত্রিক অধিকারকে পদদলিত করা হচ্ছে।
আজ্ঞাবাহী প্রশাসন যন্ত্রকে অপব্যবহার করে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসনের মাধ্যমে জনগণকে জিম্মি করে ফেলেছে। করোনা মহামারীসহ রাষ্ট্র পরিচালনায় সকল ক্ষেত্রে ব্যর্থতা আড়াল করতেই সরকার এধরণের অমানবিক ও নিষ্ঠুরতার আশ্রয় নিয়ে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু এসব অপকর্মের মাধ্যমে জনগণকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কোন লাভ হবে না। জনগণ এখন সরকারের সকল কু-কর্ম ও নিষ্ঠুর শাসন অবসানে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।