বগুড়া : চোখ যে মনের কথা বলে, চোখের দৃষ্টি হারিয়ে গেলে মনের দৃষ্টি হারিয়ে যায়। মানুষ তখন হতাশায় ভোগে। নিজেকে একাকিত্ব মনে হয়। আপনত্বকে ভুলে গিয়ে হয় উদাসিন। অথচ প্রত্যেক মানুষের রয়েছে দেখার অধিকার। চোখের দৃষ্টিদান যে কত মহৎ কাজ তা অনুভব করেছে আকবরিয়া কেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাসান আলী আলাল। তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে চোখের দৃষ্টি হারিয়ে যাওয়া অসহায় নারী-পুরুষদের দৃষ্টি ফেরাতে সংস্থার নিজ খরচে অপারেশনের ব্যবস্থা করছেন।
বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জ পাড়া ঘুনপাড়া এলাকায় ছোট বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন মনোয়ারা। সংসারে অভাব থাকলেও দুই ছেলে মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে সুখেই ছিলেন তারা। বছর চার পাঁচেক আগে স্বামী মামুন মন্ডল মারা যায়। দিশেহারা মনোয়ারা। মানুষের বাসা বাড়ি, হোটেলে থালা বাসন মাজার কাজ করে নিজ সংসারের দায়িত্ব নিয়ে সংসার চালাতে থাকে। সংসারে তিনজন মানুষের খরচ ঠিকমত চালাতে পাড়ে না। মাঝে মাঝেই অর্ধাহারে, অনাহারে তাদের দিন কাটাতে হয়।
আজ মনোয়ারা বড়ই একা বয়স প্রায় ষাটের কাছাকাছি। ঘরভাড়া দিয়ে নিজের পেট চালানো তার পক্ষে এখন খুব সহজ হয়ে উঠছে না। শরীরে নানা রোগ ব্যধি বাসা বেঁধেছে। কিছু দিন হয় চোখের খুব সমস্যা, সব সময় চোখে ঝাঁপসা, ভালো ভাবে দেখতে পায় না। হঠাৎ দেখা হয় আকবরিয়া কেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাসান আলী আলালের সাথে। আমার চোখের সমস্যার কথা খুলে বলি। মানবতার ফেরিওয়ালা হাসান আলী আলাল আমার কল্পনাকে বাস্তবে রুপ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি তাৎক্ষণিক অপারেশনের ব্যবস্থা করেন। ভালো দেখতে পাবো এমন অনুভূতিতে বুকে আশার স্বপ্ন বাঁধছি।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে তিনি প্রতিবেদককে বলেন আামার আজ অনেক বয়স হয়েছে, এত বড় অপারেশন সংসারে ছেলে মেয়ে থাকলেও আামার পাশে কাউকে পেলাম না। পাশে পেলাম আকবরিয়া কেয়ার ফাউন্ডেশনকে। এই সংস্থার বদৌলতে স্বাভাবিক মানুষের মতো দৃষ্টি ফিরে পাবো। সংসারের হাল ধরে আবারো স্বচ্ছলতা ফিরে আনতে পারবো। এ সংস্থাটি মানবসেবার ক্ষেত্রে এক অনবদ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো বৃহৎ পরিসরে সেবার দ্বার উন্মোচন করবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করলেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শাহানা খাতুন মুন্নি।