আজ ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার জুম মিটিং এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগের কারিগরি সহায়তায় ল্যাম্ব হাসপাতাল কর্তৃক আয়োজিত ইউ এন এফ পি এ বাংলাদেশ এর আর্থিক সহযোগিতায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন গভামেন্ট এজেন্সিদের সমন্বয়ে ফিস্টুলা রোগী পুর্নবাসনের লক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন ল্যাম্ব হাসপাতালের ফিস্টুলা প্রজেক্টের প্রোগ্রাম ম্যানাজার মাহাতাব লিটন। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ গোওসুল আজিম চৌধরী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর উপ-পরিচালক, শহিদুল ইসলাম ও বগুড়া জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সাঈদ মোঃ কাওছার রহমান। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ফিস্টুলা রোগীদের পূর্নবাসনের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ক্ষুদ্র ঋন ও ভিজিডি কার্ডের ব্যবস্থা করবেন। এ ছাড়াও সচেতনতা মূলক কাজ হিসেবে কিশোর কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে ফিস্টুলা রোগী বিষয়ক প্রচার করার আস্বাস দিয়েছেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, টেকনিক্যাল অফিসার ডাঃ অনিমেষ বিশ্বাস ও ফিল্ড অফিসার ডাঃ কানিজ ফাতেমা ইউ এন এফ পি এ বাংলাদেশ প্রতিনিধি, ল্যাম্ব এর জেলা সমন্বয়। পরবতিতে ল্যাম্ব হাসপাতালের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার ডাঃ তাহরিমা হোসেন তন্নি পাওয়ার পয়েন্ট এর মাধ্যমে ফিস্টুাল কি? ফিস্টুলা চেনার উপায় এবং চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধান অতিথি বগুড়ার সিভিল সাজন ডাঃ মোঃ গাওসুল আজিম চৌধরী বলেন, স্বাস্থ্যই সুখের মুল। আমরা যেন সকলে সু স্বাস্থ্যের অধিকার হই। পরিবারের মা”রা সুস্থ্য থাকলে ঐ পরিবারে সকলে সুস্থ্য থাকবে। যদি মা রা সুস্থ্য থাকে তাহলে তারা ফিস্টুলা থেকে রক্ষা পাবে। আপানারা জানেন সরকারের তৃণমূল পর্যায়ে সি এইচ সি পি, এইচ এ এবং এই্চ আই রা কাজ করে। তারা গর্ভবতী মায়েদের সেবা দিয়ে থাকে। তাদের মাধ্যমে ফিস্টুলা রোগী রেফার করা যাবে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ফিস্টুলা রোগী সনাক্তকরনের জন্য বেশী করে প্রচারনা করার কথা বলেন এবং সরকারি বিভিন্ন কর্মকতাদের আহ্বান জানান ফিস্টুলা রোগীদের পূুর্ণবাসনের।। তিনি এ ধরনের ব্যতিক্রমি আয়োজনের জন্য ল্যাম্ব হাসপাতালকে ধন্যবাদ জানান। আরো বক্তব্য রাখেন সুবির কুমার পাল শেরপুর উপজেলার মহিলা বিষয়ক কমকর্তা ও শিবগঞ্জ উপজেলার মহিলা বিষয়ক কমকর্তা মোছাঃ নাহিদা সুলতানা। এ সময় তারা ফিস্টুলা রোগীর পুর্নবাসনে সর্বাত্বক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। বিশেষ অতিথি ডাঃ অনিমেষ বিশ্বাস বলেন বাংলাদেশে প্রায় ৫০ হাজারের কাছাকাছি হোম ডেলিভারি হচ্ছে। দুইটি কারণে ফিস্টুলা রোগী হচ্ছে। হোম ডেলিভারী (বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্থ প্রসবের কারণে) এবং তলপেটের অপারেশনের ফলে। বাংলাদেশ সরকারের গৃহিত পদক্ষেপ ২০৩০ সালের মধ্যে ফিস্টুলা রোগী সনাক্ত করে চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। বতর্মানে আমাদের দেশে প্রায় ২০ হাজার ফিস্টুলা রোগী আছে। বাংলাদেশে চারটি বিভাগে ফিস্টুলা রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে ল্যাম্ব হাসপাতাল এ কাজটি করছে। ২০২০ সালে ৩২৪ জন ফিস্টুলা আক্রান্ত মায়ের সাজারী হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬৩% প্রসব জনিত ফিস্টুলা এবং ২৭ % অপারেশন জনিত ফিস্টুল। সুস্থ্যতার হার ৯২%।
ডাঃ কানিজ ফাতেমা বলেন যে, আজকের এ সভার দুইটি উদ্দেশ্য প্রথমত ফিস্টুলা রোগী চিহ্নিতকরণ, চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং পূনরবাসন অপরটি মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃস্টি করা। তিনি বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার তিন মাসের একটি তথ্য জানান। সরকারী ভাবে ১৩৫৯ টি ডেলিভারী হয়েছে তার মধ্যে হোমডেলিভারী ৬৯১টি প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি ৬৬৮টি।প্রেস বিজ্ঞপ্তি