আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার আদমদীঘিতে শহীদ সুজিত রেলগেটের এক পাশে ওয়ার পুলি নষ্ট হওয়ায় ১৮ দিন ধরে গেটটি অরক্ষিত অবস্থায় আছে। এতে করে টেনশনে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে গেটকিপারদের। কারণ একটু অসতর্কতায় ঘটতে পারে প্রাণহানির মতো ঘটনা। তাই বড় ধরণের কোন দুর্ঘটনা ঘটার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ এই রেলগেট টি মেরামত করা প্রযোজন বলে স্থানীয়রা দাবী জানিয়েছেন। বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পূর্ব ঢাকা রোড নামক স্থানে সান্তাহার-বগুড়া সড়কে অবস্থিত শহীদ সুজিত রেলগেট। রেলপথ ও সড়ক পথের সংযোগস্থল হওয়ায় এখানে তোজাম্মেল, আসমাউল এবং শাহ আলম নামে ৩ জন গেটকিপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। তিন শিফটে তারা ডিউটি করেন। প্রতিদিন এই রেল লাইন দিয়ে দিন-রাত মিলে ৮টি ট্রেন চলাচল করে৷ আবার সড়ক পথে এই রেলগেট অতিক্রম করেই শত শত ছোটবড় যানবাহন চলাচল করে থাকে। রাত ১০ টার পর থেকে ঢাকাগামী বাসও এই রাস্ত দিয়ে চলাচল করে। যে কারনে ব্যস্ততম হয়ে পড়েছে এই সড়ক পথটি। কিন্তু গত ২২ আগষ্ট রেলগেটের এক পাশের ওয়ার পুলি নষ্ট হওয়ায় রেলক্রসিং গেটটি অরক্ষিত ভাবে আছে। যার কারনে গেটটি উঠানামা করাতে পারছে না দায়িত্বে থাকা গেটকিপাররা। তাই দূঘটনা এড়াতে ট্রেন আসার সময় হলেই তারা গেটের দু পাশে চেইন (শিকল) দিয়ে বেঁধে দিচ্ছে। যাতে ট্রেন চলাচলের সময় এ গেট দিয়ে কোন পথচারী বা যানবাহন পার হতে করতে না পারে। এ বিষয়ে গেটকিপার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে ১৮দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও তাঁরা এখনও কোন পদক্ষেপ নেই নি। অথচ ওই কাজ দু’এক দিনেই ঠিক করা সম্ভব বলে জানান স্থানীয়রা। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারনে আজও অরক্ষিত অবস্থায় আছে গেটটি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পথচারী ও যানবাহন। সান্তাহারের সিএনজি চালক শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাত্রী নিয়ে যেতে হয়। রেলগেট টি অরক্ষিত থাকায় জীবনের ঝুঁকির আশঙ্কা হয়। তাই দ্রত এই গেটটি ঠিক করার দাবী জানাই।
দায়িত্বে থাকা গেটকিপার তোজাম্মেল বলেন, এই গেটটা সাময়িক ভাবে নষ্ট হওয়ায় খুব সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। আমাদের কাজ করা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। টেনশনে থাকতে হচ্ছে। তাই ট্রেন আসতে লাগলেই যানবাহন ও পথচারীদের সর্তক করে দেওয়া হচ্ছে। কারন একটু অসাবধানতায় ঘটতে পারে মারাত্মক দূঘটনা। আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি যাতে কেউ দূর্ঘটনায় না পড়ে। তবে এই গেট টা ঠিক করে দেওয়ার জন্য আমি বগুড়া ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় বলে আসার পর সেখান থেকে দেখতে এসেছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত ঠিক হয়নি। এখনও নষ্ট অবস্থায় আছে। এ ব্যাপারে বগুড়া রেলওেয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) আসলাম হোসেন বলেন, আমাদের লোক গিয়েছিল রেলগেট টি দেখতে। ওয়ার পুলির সাথে আরও কিছু নষ্ট হয়েছে। খুব দ্রত কাজটি করা হবে ।