করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের ক্ষতি–কাটিয়ে উঠতে সরকারের প্রণোদনা–প্যাকেজের আওতায় দ্বিতীয় দফায় বরাদ্দকৃত অর্থের বাকি ২০০ কোটি টাকা চলতি সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয়–সপ্তাহ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে।
মাত্র ৪ শতাংশ সুদে এসএমই ফাউন্ডেশন বিভিন্ন তফশিলী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্দিষ্ট নীতিমালা অনুযায়ী ঋণ হিসেবে এই ২০০ কোটি টাকা বিতরণ করবে। এবার ঋণ–বিতরণের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশেরও বেশি নারী–উদ্যোক্তাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, মাইক্রো ক্ষুদ ও মাঝারি উদ্যোক্তারা স্বল্প–সুদে ঋণ নিয়ে যাতে তাদের ক্ষতি কাটিয়ে আবার আগের মতো ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য সরকারের দ্বিতীয় দফা প্রণোদনা–প্যাকেজের আওতায় এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে মোট ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
‘সিএমএসএমই–খাতে’ সরকারের ২য় দফায় অর্থ–বরাদ্দের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, ‘অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা এবং পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন’।
এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থের এক–তৃতীয়াংশ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৪ শতাংশ হারে–সুদে গত অর্থবছরেই (২০২০–২১) সফলভাবে বিতরণ করা হয়। বিতরণকৃত অর্থের পরিমান ছিল ১০০ কোটি টাকা।
এসএমই ফাউন্ডেশনকে ‘সিএমএসএমই–খাতে’ ঋণ–বিতরণের লক্ষ্যে গত অর্থ–বছরেই ১১টি ব্যাংক ও নন–ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সম্পাদন করতে হয়েছে।
শনিবার সন্ধায় এসএমই ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ–বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়, কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় বরাদ্দকৃত অর্থের বাকি ২০০ কোটি টাকা ঋণ–হিসেবে বিতরণের সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এসএমই ফাউন্ডেশন।
শনিবার বিকাল ৩টায় সারাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা চেম্বার, অ্যাসোসিয়েশন এবং নারী–উদ্যোক্তা–সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে জুমপ্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মতবিনিময় সবার আয়োজন করে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো: মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের পরিচালক পর্ষদের সদস্য মির্জা নুরুল গণি শোভন, প্রাক্তন সদস্য রাশেদুল করীম মুন্না এবং বিভিন্ন ট্রেডবডি ও অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিসহ প্রায় ৯০ জন উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।
ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খানের সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তৃতায় ড. মো: মফিজুর রহমান জনান, ঋণ কার্যক্রমের জন্যই এবারো বিভিন্ন ব্যাংক এবং নন–ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে। চুক্তি স্বাক্ষর শেষে চলতি সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয়–সপ্তাহে ঋণ বিতরণ শুরু করা হতে পারে।
আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রণোদনা–প্যাকেজের আওতায় ঋণ–হিসেবে বাকি ২০০ কোটি টাকা বিতরণ সম্পন্ন করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রান্তিক পর্যায়ে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ–সংখ্যক উদ্যোক্তাকে ঋণের আওতায় আনার লক্ষ্যে এবার ঋণের সর্বোচ্চ সীমা ৭৫ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।