ঢাকা : আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কর্নফুলী টানেলের উদ্বোধন হবে বলে আশা করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেলসহ অন্যান্য মেগা প্রজেক্টের সঙ্গে আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আর এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তি থাকবে না।
আজ শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সকালে টঙ্গীর চেরাগআলীতে গাজীপুর বিআরটি প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এয়ারপোর্ট থেকে জায়েদপুর সড়কে এ বর্ষায় যতটুকু ভোগান্তিতে হয়েছে আগামী বর্ষায় এটা থাকবে না।
বিআরটি প্রকল্পের নকশা ভুল থাকার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, এই প্রকল্পের নকশায় কোনো ভুল নেই, এটা গুজব। ইতিমধ্যে আমরা প্রকল্পের ৬৩ শতাংশ কাজ শেষ করতে সক্ষম হয়েছি।
‘মেয়র হানিফ উড়াল সেতুর ডিজাইনেও ভুল থাকার কথা বলা হয়েছিল। চালু হওয়ার পর এরকম কিছুই পাওয়া যায়নি। আর এডিবি ভুল ডিজাইনের কোনও প্রকল্পে বিনিয়োগ করে না। তাদের সঙ্গে প্রকল্প নিয়ে আমাদের বহুবার বৈঠক হয়েছে।’
এসময় ঢাকা-গাজীপুর সড়কে ভোগান্তির বিষয়ে কাদের বলেন, সড়কের ড্রেনেজ সিস্টেমটাই প্রধান সমস্যা। এ প্রকল্পের জন্য জনসাধারণের অনেক ভোগান্তি হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার অভাবে বর্ষাকালে ভোগান্তি চরমে পৌঁছে। তবে এটাই শেষ বর্ষা। আগামী বছর মেগা প্রজেক্টের অন্যতম পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, কর্ণফুলী টানেলের সঙ্গে আমাদের বিআরটি প্রজেক্টও প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করতে পারবেন।
ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, প্রকল্পের ৬৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নির্মাণ কাজে সাময়িক যন্ত্রণা থাকে। এটি সবাইকে মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। যখন প্রকল্পের কাজ শেষ হবে, তখন প্রতিদিন গাজীপুর থেকে ঘণ্টায় ২০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথের প্রধান প্রকৌশলী সবুর খান, প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন, গাজীপুরের সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফ উদ্দিন আহম্মেদসহ সড়ক জনপথের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।