সান্তাহার (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সবাই এক মঞ্চে। ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বগুড়ার সান্তাহার পৌর থেকে শুরু হয়েছে এর ধারাবাহিকতায়। প্রতি শুক্রবার একটি করে ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটি ওয়ার্ড ইতিমধ্যে কর্মী সম্মেলন শেষ হয়েছে আর পাঁচটি ওয়ার্ডে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা একমঞ্চে মিটিং করছে। জানা গেছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে বগুড়ার-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনের সম্ভাব্য এমপি পদপ্রার্থীরা বিভিন্ন গ্রুপের আলাদা আলাদা মিছিল, মিটিং ও দলীয় কমসুচি পালন করে আসছে। সম্প্রতি সান্তাহার পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টুর নেতৃত্বে সম্ভাব্য সাত এমপি পদপ্রার্থীকে এক কাতারে, এক মঞ্চে কর্মী সম্মেলনে করে দলের নেতা-কর্মীদের একত্রিত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এসময় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন, আমরা ঐক্যের রাজনীতি সৃষ্টি করতে চাই। বিভাজন নয়, ঐক্যের রাজনীতি করার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত। সাত মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শহর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, বিএনপি থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মহিত তালুকদার, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, জেলা বিএনপির প্রবাসীকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান, বগুড়া বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান মুক্তা, সান্তাহার পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ফিরোজ কামরুল হাসান, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু বলেন, আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ দেশ তৈরি করতে চাই। এই কথা আমাদের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২০২৪ এর ৫ আগস্ট রাতেই বলেছিলেন, আমরা এই দেশে আর প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসা চাই না। আমরা একটি ঐক্যের রাজনীতি সৃষ্টি করতে চাই, সেটাই হচ্ছে মূল কথা। অনেক ভুল-বুঝাবুঝি হয়েছে। অনেক রক্তপাত হয়েছে বাংলাদেশে, অনেক বিভাজন হয়েছে। আমরা এখন এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।