1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে পরিচয় ঘটিয়েছে -হিরা আগামী নির্বাচন ইসলামী আন্দোলনের জন্য চ্যালেঞ্জস্বরূপ-জামায়াত আমির তারেক রহমানের নেতৃত্বে বগুড়ায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা আর কেউ করেনি-ভিপি সাইফুল নন্দীগ্রামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে ছাগল ও উপকরণ বিতরণ সান্তাহারে রেলওয়ের ১০৬ বিঘা জমি বেদখল ,গড়ে উঠেছে বস্তি ও বিভিন্ন স্থাপনা আদমদীঘিতে বিড়াল হত্যা ঘটনায় নারীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি ঘোড়াঘাটের ভাইরাল সাইমন চখের দৃষ্টি ফিরেপেতে চাই বগুড়ার মহাস্থান ও শহরের পেঁয়াজের ঝাঁঝ চরমে পাঁচবিবিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে ছাগল বিতরণ পঞ্চগড় -২ আসনে ফরহাদ হোসেন আজাদ বিএনপি’র প্রার্থী মনোনীত, নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দের বন্যা

মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনার মামলার রায়ের দিন ধার্য হবে ১৩ নভেম্বর

  • সম্পাদনার সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩৪ বার প্রদশিত হয়েছে

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন ধার্য করবেন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১২টায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ তারিখ ঘোষণা করেন। এদিন মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি খণ্ডন শেষে সমাপনী বক্তব্য দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও অ্যাটর্নি জেনারেল মো: আসাদুজ্জামান। এর আগে, বুধবার ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এ বিষয়ে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, বুধবার এ মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) এবং উপস্থিত রাজসাক্ষী (আসামি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়েছে। প্রসিকিউশনের পক্ষে আমরা জবাব দেবো। তবে কিছু অংশ আমরা উপস্থাপন করে জবাব দিয়েছি। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) চিফ প্রসিকিউটর ও অ্যাটর্নি জেনারেল সমাপনী বক্তব্য রাখবেন। এর পর আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য হবে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল সোয়া ৩টা পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে তার যুক্তিতর্ক চলে। সাক্ষীদের জবানবন্দী নিয়ে বুধবার যুক্তি খণ্ডন করেন আমির হোসেন। তিনি বলেন, এই মামলায় যিনি দুই নম্বর সাক্ষী ছিলেন তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা হাসপাতালে গিয়ে বলেছেন, নো রিলিজ, নো ট্রিটমেন্ট। অথচ প্রধানমন্ত্রীর এই কথা কোনো পত্রিকায় আসবে না এটা কি বিশ্বাসযোগ্য। এছাড়া এই কথার ভিত্তি মজবুত করার জন্য অন্য কোনো নার্স বা চিকিৎসকের মন্তব্যও ছিল না। তখন প্রসিকিউটর টিম থেকে বলা হয়, এ বিষয়ে আরো তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়ছে। আদালত তখন বলেন, যেটুকু তথ্য আমরা সাক্ষীদের জবানবন্দীতে পেয়েছি তাতে মনে হয়েছে, উনি অর্ডার দিয়েছেন জেনারেলি। আর আমাদের দেখার বিষয় সাক্ষী আহত হয়েছেন কি না। তখন আসামিদের আইনজীবীর এক প্রশ্নের উত্তরে আদালত বলেন, এটাকে বলা হয় জুডিশিয়াল ইন্টারভেনশন। আসামিকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য আপনাকে পার্টিকুলার জায়গা নিয়ে কথা বলতে হবে। ইনসাইমেন্ট এবং ইন অ্যাকশন নিয়ে বলতে হবে। আসামিদের আইনজীবী বলেন, আমার আসামিদের দোষ প্রমাণের জন্য যেসব ভিডিও আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো সম্পর্কে আমি আগেই বলেছি তা এআই দিয়ে বানানো এবং এগুলোর উপর বিশ্বাস করা যায় না। ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে প্রধানমন্ত্রী যে সংবাদ সম্মেলনে রাজাকারের ‘নাতি-পুতি’ শব্দ উচ্চারণ করেছেন। তা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও মনে করেন আমির হোসেন। তখন ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরুর সময়কার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই সময় সত্য কি সবাই গ্রহণ করেছিল। তা হলে আমার (শেখ হাসিনা) কথা সবাই বুঝবেন কিভাবে। এখানে আমি ধর্মের সাথে কোনো কিছুর তুলনা করছি না। শুধু একটা চরম সত্য বুঝতেও মানুষ ভুল করে সেটা বোঝাতে চাচ্ছি আমি। তখন আদলত বলেন, তা হলে আপনার তো বলার সময় সাবধানে বলা দরকার ছিল। এর পর বিশেষত রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজনের সাক্ষ্য সামনে আনেন। একই সাথে তাদের দেয়া সাক্ষ্য প্রত্যাখ্যান করেন। এমনকি অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে এ মামলার রাজসাক্ষী মামুন বাঁচতে চাইছেন বলেও উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া মাহমুদুর রহমান ভিন্ন মতাদর্শী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে দেখতে পারেন না বলেই জবানবন্দী দিয়েছেন। তবে তার সাক্ষ্য এ মামলায় প্রভাব পড়বে না বলেও যুক্তি দেখিয়েছেন এই আইনজীবী। পরে যুক্তি উপস্থাপন করেন রাজসাক্ষী মামুনের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম, সুলতান মাহমুদসহ অন্যরা। গত মঙ্গলবার দুপুরের পর দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন আমির হোসেন। ওই দিন সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি নিয়ে বর্ণনা তুলে ধরেন তিনি। ২০ অক্টোবর পলাতক আসামিদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত এই আইনজীবী। তিনি নিজের যুক্তিতর্কে শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষে আনা অভিযোগসহ বিভিন্ন বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যনালের আইন, আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামল, একাত্তরের পটভূমি, শাপলা চত্বরে হত্যাযজ্ঞ ও ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন। এর আগে, ১৬ অক্টোবর টানা পাঁচ দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে প্রসিকিউশন। ওই দিন হাসিনা-কামালের চরম দণ্ড (মৃত্যুদণ্ড) চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। একই সাথে রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয়ায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের শাস্তির বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেন তিনি। টানা পাঁচ দিনের যুক্তিতর্কে একাত্তর পরবর্তী আওয়ামী লীগের ইতিহাসসহ ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের শাসনামলের চিত্র তুলে ধরেন তিনি। গুম-খুন, হত্যাযজ্ঞের বর্ণনাও দেন তিনি। এ ছাড়া এ মামলায় গুরুত্বের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। গত ৮ অক্টোবর মামলার মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো: আলমগীরকে তৃতীয় দিনের মতো জেরা শেষ করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো: আমির হোসেন। এর পর যুক্তিতর্কের জন্য দিন নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল-১। এ মামলায় মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে। তবে নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে এরই মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright © 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies