বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিন আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশের মানুষের সমর্থনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকার গঠন করলে পারে আমরা দেশের মানুষের চিকিৎসার জন্য কি কি করতে পারি। ইনশাল্লাহ বিএনপি সরকার গঠন করলে পরে আমরা গ্রামে গ্রামে হেলথ কেয়ার গঠন করা হবে। হেলথ কেয়ার তৈরি করে মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। যেভাবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারে থাকাকালীন সময়ে গ্রামে গ্রামে পল্লী চিকিৎসকদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। ইনশাল্লাহ বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশের কোন রোগীকে আর হাসপাতালের বারান্দায় চিকিৎসা নিতে হবে না। রোগীরা বেডে থেকেই তাদের সর্বচ্চো চিকিৎসা সেবা পাবেন। গ্রামের সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি পরিবারের মাকে একটি চিকিৎসা কার্ড প্রদান করা হবে। ওই কার্ডের মাধ্যমে পরিবারের শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই চিকিৎসা সেবা গ্রহন করতে পারবেন।

১৮ অক্টোবর শনিবার বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি শহীদ জিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন’র ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় (ভার্চুয়ালী) ফাউন্ডেশন’র সহ-সভাপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিনী প্রখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জোবাইদা রহমানের পরামর্শে স্পেশাল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, রাজনীতি তো মানুষের জন্য। রাজনীতির পাশেও কিন্তু মানুষের কাজ করা যায়। মানুষের জন্য কাজ করা যায়। কারণ রাজনীতি করি আমরা মানুষের জন্য। অর্থাৎ মানুষ কিন্তু মানুষের জন্য। আল্লাহ তাআলা আমাদের সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে এবং সেই হিসাবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে যেমন একজন মানুষ যার পক্ষে সম্ভব আরেকজন মানুষকে সাহায্য করা সহযোগিতা কর। একইভাবে মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে আল্লাহর সৃষ্টি সকল জিনিসের প্রতি যত্ন নেয়া। এই সকল বিবেচনা বোধ থেকেই ২৭ বছর আগে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি আরো বলেন, আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। নারীদের সাবলম্বী, শিক্ষা, বয়স্ক ভাতা, চিকিৎসা, কৃষক ও কৃষি বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহন করার জন্য। আল্লাহপাক আমাদের সৃষ্টি করেছেন দায়িত্ব পালন করার জন্য। ২৭ বছর আগে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়। আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে মানুষ যাতে কম অসুস্থ হয়। সেজন্য মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে কি করলে মানুষের ডায়াবেটিস হবে না, হৃদরোগ হবে না। তারেক রহমান বলেন, অনেক দিন পরে নিজ বাড়ি উপস্থিত হতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। আজকে অনেক দিন পরে নিজের পরিচিত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। আমরা যদি এদেশের মানুষের ভালবাসায় ক্ষমতায় যেতে পারি। তাহলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন হবে। যাতে হাসপাতালের রোগীদের আর মাটিতে শুয়ে থাকতে না হয়। ভবিষ্যতে বাড়তি রোগীদের সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। কেউ যেন চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হন। সেদিকে নজর দেওয়া হবে। দেশের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাষা শেখানো হবে। ভাল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে তারা ভাল চাকরি পায়। তারা যেন চাকরি না করলেও নিজেই কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে পারেন। আমাদের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারেন। আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমগ্র মানুষের মাঝে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার আদর্শের সৈনিকদেরকে গড়ে উঠতে হবে। যাতে নিজেদের সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারি। বিপদে আপদে পাশে দাড়াতে পারি। আমরা যেন নিজেদের জনগণের সেবক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারি। এটি হোক আমাদের আগামী দিনের শপথ। এদিন বগুড়ার বাগবাড়িতে শহীদ জিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে স্পেশাল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ঢাকা এবং বগুড়া থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ প্রায় ৭ থকে ৮ হাজার মানুষকে সব ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। একই সাথে রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ ও পরামর্শপত্র দেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্বাস্থ্য ক্যাম্পের আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালী প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অত্র ফাউন্ডেশন’র সহ-সভাপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডাঃ জোবাইদা রহমান।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাঃ জুবাইদা রহমান বলেন, মানব সভ্যতার এক ক্রান্তি লগ্নে আমরা আজ পৌছে গেছি। আর্তমানবতার সেবায় আমরা প্রত্যেকে নিজনিজ অবস্থানে কাজ করতে পারি। এই ফাউন্ডেশনের প্রতিটি সদস্যর আত্মত্যাগ ও মানুষের জন্য পথ চলা ইতিহাস হয়ে থাকবে। স্বল্প সামর্থ্যে বহু মানুষকে আকাশচুম্বী সফলতা দিয়েছে এই ফাউন্ডেশন। আগামীতে হয়তো আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও মানবাধিকার উজ্জল নক্ষত্রের মত প্রতীয়মান হবে এই জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ ফরহাদ আলিম ডোনার’র সভাপতিত্বে আলোচরা সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সাবেক এমপি মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, বিএনপির মিডিয়া সেল এর আহবায়ক অধ্যাপক ডাঃ মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, ড্যাব বগুড়া জেলা শাখার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ শাহ মোঃ শাহজাহান আলী, গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিন্টন। অধ্যাপক লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ডাঃ মোস্তফা আজিজ, ডাঃ এমআর হাসান, ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী, ডাঃ এ কে এম মোনারুল কাদির বিটুল প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি মোশাররফ হোসেন, সাবেক এমপি কাজী রফিক, বিএনপির ও অঙ্গ দলের মধ্যে এম আর ইসলাম স্বাধীন, ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, কেএম খায়রুল বাশার, ডা: ফিরোজ, এনামুল হক নতুন, বিএমএ বগুড়া’র সভাপতি ডাঃ আফসারুল হাবিব রোজ, শহীদ জিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারঃ) মোঃ আব্দুল বারী, ইঞ্জিনিয়ার রাজ্জাকুল আমিন তালুকদার রোকন, মাস্টার আমিনুর রহমান তালুকদার, সাবেক মেয়র সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রহিম পিন্টু, আবু হাসান, হাবিবুর রশিদ সন্ধ্যান, এম আর হাসান পলাশ, মাহফুজুর রহমান ফারুক, আরিফুর রহমান মজনু, রাকিবুল হাসান হিরু, আব্দুল লতিফ, সুজা উদ্দিন সুজা, আঞ্জু মন্ডল, জাঙ্গীর আলম পোটল সহ বিএনপি ও অঙ্গদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ প্রমূখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা ও উপজেলা বিএনপি অঙ্গ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।