বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হলেন গুম ফেরত ছাত্রনেতা শেখ শাকির ইবনে সাইখ রিচি। গত ২৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের স্বাক্ষরে এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক গালিব আল মুগনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাইসুল ইসলাম ধ্রুবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। নবনির্বাচিত সভাপতি রিচি জানান, ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের কর্মসূচি থেকে ফেরার পর স্বৈরাচারী হাসিনার গণগ্রেপ্তার কার্যক্রম শুরু হয়। তখন মেডিকেল থেকে সরে নিজের বাসায় অবস্থান নিই। লোকেশন ট্র্যাকিং করে আমাকে গুম করে খুনি হাসিনার জল্লাদ বাহিনী। তারপর হাত, পা, চোখ বেঁধে অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। ৩দিন পর আল্লাহর অশেষ দয়ায় আমাকে অজ্ঞাত স্থানে ফেলে রেখে যায় হাসিনার বিনা ভোটের খুনি গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের জল্লাদ বাহিনী। আমি বেঁচে ফিরতে পারব এ আশাটুকুও ছিল না।
তিনি আরও জানান, আমাকে গুমের খবরে আমার বাবা দুশ্চিন্তায় স্ট্রোক করেন। আমার মা কান্নাকাটি করে অজ্ঞান হরান। অসুস্থ বাবাকে মেডিকেলে ভর্তি করালে সেখানেও খুনি এমপির গুন্ডাবাহিনী আমার গতিবিধির অনুসরণ করতো। আমি মেডিকেল থেকে কেনাকাটার জন্য বের হলে একবার বাস এবং আরেকবার ট্রাক চাপায় মারার চেষ্টা করে গুন্ডাবাহিনী। আমার মেডিকেলেও তাদের বেশ কয়েকজনকে চাকরিতে নিয়োগ করে। ইতোপূর্বে সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সহ তার বাহিনীরা অনেকগুলো ক্লুলেস হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে যার উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে তাদের বিচার সম্পন্ন করা যায়নি।
জানা যায়, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি শেখ শাকির ইবনে সাইখ রিচি গত জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ছাত্র রাজনীতি করায় গত ২০২৩ সালে গুমও হতে হয় এই ছাত্রনেতাকে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত করায় রিচি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।