1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
মহাদেবপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পেল বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার ও শিশুতোষ বই পাঁচবিবিতে আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে বিজিবির অভিযানে ১৩ লক্ষ টাকার ভারতীয় পণ্য সহ গ্রেফতার-১ আমরা সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই- সাবেক এমপি লালু বগুড়া শহর যুবদলের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা ও গণসংযোগের প্রচারপত্র বিতরণ বগুড়ার চকলোকমান হযরত ফাতেমা বাযি. বালিকা মাদরাসার বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলে অনুষ্ঠিত নন্দীগ্রামে সহস্রাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে সাবেক এমপি মোশারফের শোডাউন নওগাঁয় জনতার এমপি জাহিদুল ইসলাম ধলু ওধানের শীষের পক্ষে জনমত গঠনে শান্তিপূর্ণ মিছিল বগুড়ার শেরপুরে ১৩৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি নওগাঁ-৩ আসনে জনিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রদানের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
শিরোনাম:
মহাদেবপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পেল বিশুদ্ধ পানির ফিল্টার ও শিশুতোষ বই পাঁচবিবিতে আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে বিজিবির অভিযানে ১৩ লক্ষ টাকার ভারতীয় পণ্য সহ গ্রেফতার-১ আমরা সব ধর্মের মানুষকে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই- সাবেক এমপি লালু বগুড়া শহর যুবদলের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা ও গণসংযোগের প্রচারপত্র বিতরণ বগুড়ার চকলোকমান হযরত ফাতেমা বাযি. বালিকা মাদরাসার বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলে অনুষ্ঠিত নন্দীগ্রামে সহস্রাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে সাবেক এমপি মোশারফের শোডাউন নওগাঁয় জনতার এমপি জাহিদুল ইসলাম ধলু ওধানের শীষের পক্ষে জনমত গঠনে শান্তিপূর্ণ মিছিল বগুড়ার শেরপুরে ১৩৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি নওগাঁ-৩ আসনে জনিকে বিএনপির মনোনয়ন প্রদানের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা বৈধ ছিল, ষড়যন্ত্র ছিল না: নাহিদ

  • সম্পাদনার সময় : রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৩ বার প্রদশিত হয়েছে

শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা বৈধ ছিল, কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জুলাই আগস্টের আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক দফা ঘোষণা করে তাকে উৎখাত করার প্রস্তুতি নেওয়া ছিল বৈধ, এখানে ষড়যন্ত্রের কিছু নেই। জুলাই গণঅভ্যূত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ রোববার দুপুরে সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে সকালে ৪৭ নম্বর সাক্ষী হিসেবে তাকে জেরা করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেই সুযোগও আছে। আমরাও আবেদন জানাব। বিচারের মধ্য দিয়েই তাদের বিষয়ে ফয়সালা করতে হবে।  সরকারের নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। কেননা তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাই বিচারের আওতায় এনে দলগতভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ, অস্থায়ী সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এছাড়া ফ্যাসিবাদের দোসরদেরও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তিনি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ এসেছে। আমরা ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাব। কারণ, রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে দলীয় প্রধান হিসেবে জনগণকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এই মামলায় ব্যক্তি হিসেবে শেখ হাসিনাকে আসামি করে মামলা চলমান। আমি মনে করি, এটা শুধু ব্যক্তির সংঘটিত অপরাধ নয় বরং এটা রাজনৈতিক অপরাধ। তাই, জনগণই প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছে। ফলে বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে। এছাড়া জুলাই-আগস্টের অপরাধ পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা হয়ে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন নাহিদ।
আন্দোলনে দেশি বিদেশি শক্তির ইন্ধন ছিল এমন অভিযোগের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই আগস্টের আন্দোলনে গুলি চালিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক দফা ঘোষণা করে তাকে উৎখাত করার প্রস্তুতি নেওয়া ছিল বৈধ, এখানে ষড়যন্ত্রের কিছু নেই। জনগণের অভ্যুত্থান হিসেবে জুলাই আগস্ট সংঘটিত হয়েছে। এখানে দেশি বিদেশি শক্তির কোনো ইন্ধন ছিল না। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছিল জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করে সফলতা নিয়ে এসেছে। শেখ হাসিনাসহ অন্যরা বিচারের মুখোমুখি হতে ভয় পেয়ে তারা দেশত্যাগ করেছে। দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সুপিরিয়র রেসপনসেবিলিটি হিসেবে করা মামলায় ৪৭তম সাক্ষী নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের পর জেরা আজ রোববার শেষ হয়েছে। এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন-সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এরমধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ তিনি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এ নাহিদকে জেরা শেষ করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত শেখ হাসিনার আইনজীবী আমির হোসেন। এদিন জেরার জবাবে নাহিদ বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পেছনে দেশি-বিদেশি শক্তির ইন্ধন ছিল না। জেরায় নাহিদ ইসলামকে আইনজীবী প্রশ্ন করেন, দেশি-বিদেশি শক্তির ইন্ধন ছিল বিধায় আপনারা ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন? জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, এ কথা সত্য নয়। জেরার জবাবে ট্রাইব্যুনালে নাহিদ ইসলাম বলেন, এটা সত্য নয় যে, ৩ আগস্ট সরকার পতনের এক দফা কর্মসূচি তাদের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফলশ্রুতি। এটাও সত্য নয় যে, তাঁদের আন্দোলনের পেছনে দেশি-বিদেশি শক্তির হাত ছিল। এ সময় প্রসিকিউশনের (রাষ্ট্রপক্ষ) পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনকে চ্যালেঞ্জ করার কোনো সুযোগ নেই। এটা রাষ্ট্রের বৈধতা রয়েছে। আর এ বিষয়ে আপিল বিভাগ অনুমোদন দিয়েছেন। এখানে বিচার হচ্ছে মানবতাবিরোধী অপরাধের। সরকারের বৈধতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন আসতে পারেনা। মামলা সম্পর্কিত কথা বলাই উত্তম। তখন ট্রাইব্যুনাল বলেন, এর সঙ্গে এটা প্রাসঙ্গিক। এটা দেওয়া যেতে পারে। এ সময় শেখ হাসিনার আইনজীবী বলেন, ‘ড. ইউনূসকে জড়িয়ে কোনো কথা বলা সমীচীন মনে করি না। কিন্তু সাক্ষীর বক্তব্যের খাতিরে বলতে হচ্ছে।’জেরায় আমির হোসেন আরও দাবি করেন, গত বছরের ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি। তিনি ভারতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এটা সত্য নয় যে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পদত্যাগ করেন নাই। এটাও সত্য নয় যে শেখ হাসিনা বাধ্য হয়ে ভারতে চলে যান নাই।’ শেখ হাসিনা ও কামালকে নির্দোষ দাবি করে আমির হোসেন বলেন, ‘আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার ও মারণাস্ত্র ব্যবহারের কোনো নির্দেশ দেননি শেখ হাসিনা। মূলত জনগণের জানমাল ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। তাই এই আসামিরা অপরাধের জন্য দায়ী নন। আমির হোসেনের এমন প্রশ্নের জবাবে এসব সত্য নয় বলে জানান সাক্ষী নাহিদ ইসলাম।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright © 2025 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies