বগুড়ায় শতাব্দী ফিলিং স্টেশনের ক্যাশিয়ার ইকবাল হোসেনকে হাতুরির আঘাত দিয়ে খুন করে সহকর্মী মোঃ রাকিবুল ইসলাম রতন। হত্যার ১২ ঘন্টার মধ্যে রবিবার ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর মৌচাক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গ্রেপ্তার রতন শাজাহানপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মোঃ চাঁন মিয়ার ছেলে। আটকের সময় তার কাছে নিহতের মোবাইল ফোন ও নগদ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু, সেলাইরেঞ্জ ও সিসিটিভি উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার ৮ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেসব্রিফিং এ এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মুহাম্মাদ রায়হান। এরআগে রবিবার গভীর রাতে শহরের রংপুর সড়কের দত্তবাড়ি এলাকায় অবস্থিত পাম্পের ক্যাশ কাউন্টারের ভেতরে এ খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত ইকবাল হোসেন সিরাজগঞ্জ সদরের পিপুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে। জানা যায়, অভিযুক্তক রতন ও ইকবাল একই পাম্পে চাকুরি করতেন। ইকবাল বিভিন্ন সময়ে পাম্পের তেল নিয়ে অনিয়ত করতো। ঘটানার কিছুদিন আগে তেল অনিমের বিষয়টি অভিযুক্ত রতন পাম্পের মালিককে জানায়। এ ঘটনায় ইকবাল সহকর্মী রতনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চর-থাপ্পর ও মারপিট করে। এতে অভিযুক্ত রতন ইকবালকে শায়েস্তা করার জন্য পরিকল্পনা করে এবং সুযোগ খোঁজে। একপর্যায়ে রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে রতন পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় ইকবালকে হাতুরি দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রতন স্বীকার করে যে, শতাব্দী ফিলিং স্টেশনে তেল পাম্প থেকে তেল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জের ধরে রতন ইকবালকে হত্যা করে। সে এবং ইকবাল রাতের শিফটে কাজ করতো। ইকবাল পাম্প থেকে প্রতিদিনই তেল চুরি করে বিক্রি করতো। আর এই তেল চুরি করতে গিয়ে ইকবাল মালিকের কাছে ধরাও পড়েছিল। কিন্তু রতন দোষ না করেও তেল চুরির অপবাদ তাকেই দিয়েছিল নিহত ইকবাল। পরে মালিক রতনকে ভুল বুঝেছিলেন। এ ঘটনায় পাম্পের মালিক তাকে চড় মেরেছিলেন। এতে রতন অপমানিত হয়। আর এতেই তার মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এঘটনায় নিহত ইকবাল হাসান এর বোন মোছাঃ সাদিয়া খাতুন বাদী হয়ে সোমবার বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মুহাম্মাদ রায়হান জানান, আসামী রতনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।