মহাদেবপুর (নওগাঁ) সংবাদদাতা ঃ প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে আমবাটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়। মূলত শিক্ষার মূলধারা থেকে বঞ্চিত অটিজম আক্রান্ত ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে ২০১৫ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। মহদেবপুর-জয়পুরহাট আঞ্চলিক সড়কের পত্নীতলা উপজেলার আমবাটি মোড়ে খোলামেলা ও মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত এ ব্যতিক্রমধর্মী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে দেড় শতাধিক অটিস্টিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে। এসব শিশুদের শিক্ষা প্রদানের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছেন নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক, কর্মচারীরা। এদের কেউই কোন বেতন-ভাতা পান না। সবাই স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে সমাজের জন্য অতি প্রয়োজনীয় এ দ্বায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী সোহেলের মা বলেন, এখানকার শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই গরীব। তাই তাদের বাস ভাড় ও ভ্যান ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে অনেক অসুবিধা হয়। এসব শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য তিনি সরকারের প্রতি একটি গাড়ী প্রদানের দাবী জানান। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করছেন আঁখি আক্তার। প্রধান শিক্ষিকা আঁখি আক্তার বলেন, এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ও বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাভাবিক শিশুদের পাশাপাশি অংশ নিয়ে অটিস্টিক শিশুরাও অনেক সাফল্য অর্জন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তাই অবহেলা করে অটিস্টিক শিশুদের ঘরের কোণে লুকিয়ে না রেখে তাদেরকে বিদ্যালয়ে আনার জন্য পিতা-মাতার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। দীর্ঘদিন ধরে এ প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-কর্মচারীরা বিনা বেতনে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। তাই তাদেরকে এমপিও ভুক্ত করার দাবী জানান প্রধান শিক্ষিকা আঁখি আক্তার। প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন কারিতাসের টিসিআরপি প্রকল্পের আঞ্চলিক এনিমেটর নীলা বিশ্বাস, ফিল্ড এনিমেটর সলোমন হাসদা বলেন, প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক অবদান রাখছে।