বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেছেন, মনে রাখবেন বাংলাদেশ লাখো প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছে দিল্লীর দাসত্ব করতে নয়। যে সেবাদাসী হতে চেয়েছিলেন সেই দাসী এখন আপনাদের পদতলে। ক্ষমতা হারিয়ে বিতাড়িত হওয়ায় হাসিনার চেয়ে বেশি পাগল হয়ে গেছে ভারতীয় বিজেপি সরকার ও উগ্রবাদীরা। মরিয়া হয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। ভারতের সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু চরম উগ্রবাদী বিজেপি যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে চায় তাহলে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক প্রতিটা মানুষ এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব-সম্মান আত্মমর্যাদা রক্ষায় রুখে দাঁড়াবে। দুর্জয় এ বাংলাদেশ কখনোই মাথা নোয়াবে না। ভারতের আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকালে বগুড়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে এক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে শেষে জেলা বিএনপির কার্যালয় হইতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহর পূদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ভিপি সাইফুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম আর ইসলাম স্বাধীন, এ্যাড. হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন নবী সালাম, জেলা বিএনপির নেতা শেখ তাহা উদ্দিন নাঈম, শাহদত হোসেন, বগুড়া শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, জেলা যুবদলের সাবেক আহববায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ, জেলা মহিলা দলনেত্রী অ্যাডভোকেট শাহাজাদী, সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান শুভ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম শুভ, জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক ময়নুল ইসলাম বকুল, শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব মনি, সাধারণ সম্পাদক আদিল শোহরিয়ার গোর্কী, সদও উপজেলা যুবদলের আহবায়ক শ্রী অতুল চন্দু দাসসহ বিএনপির ও অঙ্গদলের নেতৃবৃন্দ।
রেজাউল করিম বাদশা বলেন, ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এক দশকের শাসনামলে দেশটিতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলিমদের অধিকার ক্রমশ কমে আসছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) মুসলিমবিরোধী বলে অভিযোগ রয়েছে। দেশটির একমাত্র মুসলিম অধ্যুষিত জম্মু ও কাশ্মিরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করেছে মোদি সরকার। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থানে নির্মিত হয়েছে রামমন্দির। একাধিক রাজ্যে গরুর মাংস বিক্রি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মুছে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে মুঘল আমলের বিভিন্ন নাম ও স্মৃতিচিহ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনেও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে উঠে এসেছে। সব মিলিয়ে ধর্মীয় জনগোষ্ঠী হিসেবে হিসেবে সেখানকার মুসলিমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।