স্টাফ রিপোটার : বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে জিয়া ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে রাজশাহী সবুজ দলকে ৩৪ রানে হারিয়েছে রাজশাহী লাল দল। শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে লাল দলের ছুঁড়ে দেওয়া ১৪০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৮ দশমিক ৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় সবুজ দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে শফিউল ইসলাম সুহাসের ব্যাট থেকে। ১৯ বলে ৪ ছক্কা ও এক চারে তিনি এই রান করেন। লাল দলের রিমন হোসেন ৩টি এবং একরামুজ্জামান ২টি উইকেট শিকার করেন। রোববার দিনের একমাত্র ম্যাচে টসে জিতে রাজশাহী সবুজ দল রাজশাহী লাল দলকে ব্যাট করতে পাঠালে লাল দল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে করে ১৩৯ রান। দলের পক্ষে নাঈম আহম্মেদ অপরাজিত ৩৮ রান করেন। সবুজ দলের ফরহাদ রেজা, রনি এবং নাঈম জুনিয়র একটি করে উইকেট লাভ করেন। এর আগে ১০ নভেম্বর রবিবার সকাল ১১ টার জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মাদ আশরাফুল, তামিম ইকবাল এবং জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে টুর্ণামেন্টের উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জিয়া ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবু, সদস্য সচিব দেবব্রত পাল, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোঃ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, টুর্ণামেন্টের উপদেষ্টা ও বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মোশারফ হোসেন, টুর্ণামেন্টের উপদেষ্টা মীর শাহে আলম, সাবেক এমপি গোলাম মোঃ সিরাজ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির, এম আর ইসলাম স্বাধীন, এ্যাড. হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, এ্যাড. আব্দুল বাছেদ, এম মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ উন নবী সালাম, কেএম খাইরুল বাশার, জাহিদুল ইসলাম হেলাল, বগুড়া শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান শুভ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান সরকার, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ, শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবিব মমি এবং শহীদ চান্দুর ভাই এবং চব্বিশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ পরিবারের একজন সদস্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিপুল সংখ্যক দর্শক গ্যালারীতে বসে খেলাটি উপভোগ করেন। আয়োজক কমিটি এবং দর্শকদের পক্ষ থেকে আবারও শহীদ চান্দু ষ্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক ভেন্যু করার জোর দাবী জানানো হয়।