ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনি দখলদার ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে ‘দাঁত ভাঙা’ জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) সারাদেশ থেকে আগত সব বয়সের একদল শিক্ষার্থীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আলী খোমেনি বলেন, শত্রুদের- (যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী সরকার উভয়েরই) জানা উচিত যে, তারা ইরান ও প্রতিরোধ ফ্রন্টের বিরুদ্ধে যা করছে, এর জন্য অবশ্যই দাঁত ভাঙা জবাব পাবে। ইরানি কর্মকর্তারাও সীমান্তবর্তী দুটি শহর ইলাম ও খুজেস্তানের পাশাপাশি তেহরানের কেন্দ্রস্থলে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, এটা শুধু (ইহুদিবাদী শাসনের ওপর) প্রতিশোধের বিষয় নয়। এটি আমাদের ধর্ম, নৈতিকতা, ইসলামী আইন এবং আন্তর্জাতিক আইনে (বৈশ্বিক ঔদ্ধত্যের বিরুদ্ধে) সঙ্গতিপূর্ণ একটি যৌক্তিক পদক্ষেপ। ইরান এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র অবহেলা দেখাবে না। আয়াতু্ল্লাহ খোমেনি বলেন, অহংকারী শক্তিগুলোকে মোকাবেলা করার জন্য ইরানি জাতিকে প্রস্তুত করতে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় সবকিছু করবো। সেটা সামরিকভাবে, অস্ত্রশস্ত্রের দিক থেকে হোক বা রাজনৈতিকভাবে। আমাদের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কাজ করছেন। তিনি উল্লেখ করেন, ইসলামী শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ ইরানি জাতির জন্য নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো কর্তব্য। অহংকারের মোকাবিলা করা কর্তব্য। অহংকার মানে হলো- ব্যাপক অর্থনৈতিক, সামরিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য এবং জাতিকে অবমাননা করা। ইরানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের শত্রুতার কথা উল্লেখ করে আলী খামেনি বলেন, ‘তথ্য বিকৃত করা ঐতিহাসিকরা দাবি করার চেষ্টা করছে যে, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়েছিল ১৯৭৯ সালের ৪ নভেম্বর। এটা মিথ্যা কথা। আমেরিকানরা বিপ্লবের শুরু থেকেই ইরানি জাতির সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল। এমনকি কয়েক বছর আগেও তারা ইরানি জাতির বিরুদ্ধে যা করতে পারে, তাই করেছিল।’ ইমাম খোমেনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এও বলেন, তারা ইসলামকে সেভাবে ভয় পায়, যেভাবে শয়তান ‘পরম করুণাময়, পরম করুণাময় আল্লাহর নামে’ ভয় পায়।