1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
"মদদপুষ্ট’ নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন পুণর্গঠনের দাবি'' - Uttarkon
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ইউনুস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ : রিজভী বগুড়ায় শহীদ ও আহত ছাত্র-জনতার পরিবারের পাশে তারেক রহমান অন্তবর্তীকালীন সরকার সফল তো বাংলাদেশ সফল-মিল্টন হিন্দুস্থান টাইমসের নিবন্ধ: ঢাকা চাইলে হাসিনাকে হস্তান্তর করতে পারে দিল্লি নানা কর্মসূচির মধ্যেদিয়ে গাবতলীতে মরহুম সংসদ সদস্য সিরাজুল হক তালুকদারের ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বললেন মির্জা ফখরুল আলজাজিরার প্রতিবেদন: বিদেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ৮ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু ১০ সাবেক সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

“মদদপুষ্ট’ নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন পুণর্গঠনের দাবি”

  • সম্পাদনার সময় : বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ১৭ বার প্রদশিত হয়েছে

শেখ হাসিনা সরকারের ‘মদদপুষ্ট’ নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন পুণর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন। বুধবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানে দেশের দুই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে বিগত শেখ হাসিনার মদদপুষ্ট ব্যক্তিরা বসে আছে- অভিযোগ করে অবিলম্বে অন্তর্বতীকালীন সরকারকে উদ্যোগ নিতে বলেছেন বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরামের এই নেতা। তিনি বলেন, “এখন অতীব জরুরি নির্বাচন কমিশন পূণর্গঠন করা, অতীব জরুরি দুর্নীতি দমন কমিশন পুনর্গঠন করা। কারণ এই দু’টি প্রতিষ্ঠানে বিগত সরকারের সুবিধাভোগীদের বসিয়ে রাখা হয়েছে।”‘এই সমস্ত সুবিধাভোগীদের ঝেটিয়ে বিদায় করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা আশা করি, এই সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল… তারা তাদের সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন কমিটির আহ্বায়ক এজেডএম জাহিদ হোসেন।   শেখ হাসিনা শাসনামলে গঠিত নির্বাচন কমিশন তাদের ‘তল্পিবাহক’ ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন এই দেশের বিগত রেজিম যেটি ছিল, সেটি পাকাপোক্ত করার জন্য যারা সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে, সেটি হলো এই ভুয়া নির্বাচন কমিশন। তারা দলদাস তল্পিবাহক একটি কমিশন। ওই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও তাদের গঠন করা নির্বাচন কমিশন আজ বহাল তবিয়তে বসে আছে।’ “যারা গত ৭ জানুয়ারি ‘আমি আর ডামি’র নির্বাচন করেছে, যারা এক সময়ে দিনের ভোট রাতে করেছে, যারা এক সময়ে বিনা ভোটে এমপি উপহার দিয়েছে… এই তিনটা নির্বাচন কমিশন আমরা এরকমই দেখেছি। বর্তমান এই কমিশন আজ অবধি নির্লজ্জের মতো বসে আছে। আমি মনে করি, এই নির্বাচন কমিশনের বোধদয় হওয়া উচিত। জনগণের রোষ থেকে বাঁচার জন্য পদত্যাগ করে এই সরকারকে সুযোগ দেয়া উচিত নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের। অন্যথায় ‘সত্যিকার অর্থে জনরোষ থেকে কেউ রক্ষা পাবে না’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। একইসাথে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দুদকের যে সমস্ত কমিশনার ও কর্মকর্তারা এখনো বসে আছেন বিগত সরকারের সুবিধাভোগী হিসেবে… অন্তর্বতীকালীন সরকারকে বলব, অতীব জরুরি দুদক পুণর্গঠন করা।’‘কারণ দুদকে পতিতদের আত্বীয়-স্বজন, উনাদের সুবিধাভোগী লোকজনকে বসিয়ে রেখে তৎকালীন বিরোধী দলসহ দেশের মানুষের ওপর র্নিযাতন চালানো হয়েছে। আজকে ১৮ লক্ষ কোটি টাকা বলেন আর পাচার কৃত অর্থ ফেরত আনতে হলে, ব্যাংক লুটের অর্থ ফিরিয়ে আনতে হলে, সেই সংবাদকর্মী হোক, চিকিৎসক হোক, স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি বের করতে হলে, আইসিটির দুর্নীতি বের করতে হলেও অথবা গেটওয়ের দুর্নীতি বের করতে হলেও শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশন দরকার। নির্মোহভাবে যারা দায়িত্ব পালন করবেন… এসব সুবিধাভোগীদের ঝেটিয়ে বিদায় করা সরকারের দায়িত্ব।’

জাহিদ বলেন, ‘বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ দূর্গত মানুষের জন্য নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী ত্রাণ সামগ্রী দিচ্ছে। আমি দুই দিন আগেও বলেছিলাম প্রায় ১০ কোটি টাকার ত্রাণ সামগ্রী বন্যাকবলিত এলাকায় সমন্বিতভাবে বিতরণ করা হয়েছিল আজ থেকে তিন দিন আগে। আমাদের এই ত্রাণের কার্য্ক্রম, ব্যাপকতা, গ্রহণযোগ্যতা, অংশগ্রহন এমন আকার ধারণ করেছে যে আমরা গতকালকে রাত পর্যন্ত প্রায় ১৩ কোটি টাকার অধিক ত্রাণ সামগ্রী এবং নগদ অর্থ দূর্গত মানুষের মাঝে বিতরণ করতে পেরেছি।’তিনি বলেন, ‘আমরা সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমরা শুধু একটি জিনিস খেয়াল রাখছি- নৈতিকভাবে দুর্বল অবস্থানে যারা আছেন, তাদের ত্রাণ আমরা গ্রহণ করছি না। মনে রাখতে হবে আমরা চাই, বিগত রেজিমে ‍সুবিধাভোগী মানুষ যাতে এখানে ঢুকে না পড়ে, ত্রাণ দিয়ে নিজেকে আড়াল করতে না পারে সেই বিষয়টি বিএনপি অত্যন্ত সচেতনতার সাথে খেয়াল রাখছে।’ ‘দুই একটি জায়গায় একটু ভুল হয়েছিল, আমরা তাদের সেই ত্রাণ সহায়তা ফিরিয়ে দিয়েছি। কাজেই আমরা এই ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ… এই ত্রাণে অংশগ্রহণ করছে এদেশের বেশিরভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ, জাতীয়তাবাদী পরিবার এবং সেই সাথে সাধারণ শ্রেণী-পেশার মানুষ।’ তিনি জানান, বন্যার্তদের জন্য খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ আরো দুই দিন চলবে। এরপর বিএনপি পুর্ণবাসন কাজে নামবে। এর মধ্যে থাকে বন্যাকবলিত এলাকায় ,মানুষের বাড়িঘর নির্মাণে সহযোগিতা করা, গবাদি-পশু দিয়ে সহায়তা করা, বীজ সরবারহ করা, শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বই-খাতা প্রভৃতি কাজ সাধ্যমত বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায় করবে। তিনি বলেন, ‘একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে। আমরা তো সরকার না। সরকার তার নিজস্ব কার্য্ক্রম করছে। সরকারের পাশাপাশি বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে ব্যক্তি ও জনগণের দল, সেই জন্য দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পরামর্শক্রমে এবং আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনায় এই ত্রাণ কার্য্ক্রম চালাচ্ছি। আমরা বিএনপি-পরিবার বন্যার্তদের পাশে আছি, থাকব।’ সংবাদ সম্মেলন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ও ত্রাণ সংগ্রহ কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম আজাদ, সদস্য মীর সরাফত আলী সপু, তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies