কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নে কাগজীপাড়া গ্রামের জাফর আলীর প্রায় দেড় একর জমির আমন ধানের বীজতলা একরামুল গংরা কীটনাশক ছিটিয়ে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে । একই এলাকার জাফর আলীর সাথে মৃত মেছের আলীর পুএ একরামুল,জাহেদুল,খলিলুর ও আব্দুল জলিলের পুএ জাহাঙ্গীরদ্বয়ের দীর্ঘদিন যাবত জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলছে।উক্ত জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞ কুড়িগ্রাম সদর সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা চলমান।কিন্তু আদালত কে অবমাননা করে জাফর আলী ও তাঁর পরিবারের সদস্যগণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন।গত ২৭ জুলাই দিবাগত রাত ২.৪৫ ঘটিকার সময় সকল বিবাদীগণ আমন ধানের বীজতলায় কীটনাশক প্রয়োগ করে নষ্ট করেদেয়।এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা।
স্থানীয়রা জানান, উক্ত জাফর আলীর জমিটি এলাকার কৃষক ভাড়া নিয়ে আমন ধানের চারা রোপণের বীজতলা করেন।কিন্তু দুষ্কৃতিকারী মেছের আলী পুত্রদ্বয় ও জাহাঙ্গীর সেই কৃষকের স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ করলেন। উক্ত দেড় একর জমির বীজতলা দিয়ে ১৫০ বিঘা জমির ধানের চারা রোপণ করে প্রায় ২ হাজার ২শত ৫০ মন ধান উৎপাদন করা সম্ভব ছিলো।যার বাজারমুল্য ২২লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।বর্তমানে কৃষকের মাথায় হাত সামনে রোপা আমনের বীজতলা নষ্ট হওয়ায় কেমন করে ধান রোপণ করবে এবং তাঁদের পরিবার পরিজনকে কেমন করে বাঁচাবে। এদিকে বিবাদী খলিল ও একরামুলের স্ত্রীর সঙ্গে কথা হলে জানায়, এত দিন ঐ জমিতে আবাদ করেছি আমরা ।আমাদের বিরুদ্ধে বিজতলা নষ্ট করার অভিযোগ সঠিক নয়।কিন্তু কে বা কাহারা কীটনাশক ছিটিয়ে বীজতলা নষ্ট করছে আমরা জানিনা। এলাকাবাসীর পক্ষে বাতেন,আশরাফুল, মুকুল সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানান। কুড়িগ্রাম সদর থানা অফিসার ইনচার্জ মো:মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।