মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে বলছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, এই বছরের শেষের দিকে এটি কমতে শুরু করবে। শুক্রবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন বাজেটের আকার আমরা কমিয়ে রেখেছি। যাতে করে মূল্যস্ফীতির ওপর কোনো চাপ না পড়ে।’ তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সঙ্কোচনমূলক পদক্ষেপ আরো কিছুদিন চলবে। এর মাঝেও প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশে উন্নীত করার চেষ্টা করব, যেটা এখন চলতি অর্থবছরে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ হিসেবে প্রাক্কলন করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে ধরে রাখার চেষ্টা করব।’
২০২৬ সালে ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন’ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান মাহমুদ আলী। পাশাপাশি সুনীল অর্থনীতি ও জলবায়ু নিয়ে গবেষণায় বরাদ্দ রাখার কথা বলেন। ব্যক্তিখাতকেও এ দুই উদ্যোগে এগিয়ে আসার আহ্বানা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী দিনে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু পণ্যের শুল্ক কমিয়ে আনা হয়েছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বিশাল অংকের এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।