মহাদেবপুর (নওগাঁ) সংবাদদাতা ঃ প্রচন্ড গরমে চাহিদা বেড়েছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভালাইন গ্রামের তৈরি তালের হাত পাখার। এ গ্রামে তৈরি হাত পাখা এখন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পাখার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে পাখা তৈরি কারিগরদের। গ্রামটিতে এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে পাখা তৈরির কাজ। এ গ্রামের অনেক মানুষ পাখা তৈরি ও বিক্রির সাথে জড়িত বলে পাখাগ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এ গ্রামটি। পাখা তৈরির কাজটি মূলত বাড়ির মেয়েরাই করে থাকে তবে পাখা তৈরির মূল উপাদান তালের পাতা সংগ্রহ করে পুরুষ সদস্যরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রতিটি পাখা তৈরি করতে খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ টাকা, বিক্রি হয় ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। তবে নকশা করা রঙ্গিন পাখাগুলোর প্রকার ভেদে দাম পড়ে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। পেশাটি লাভজনক হওয়ায় সুদিন এসেছে পাখার কারিগরদের। তবে বেশিরভাগ পাখার কারিগরদের নিজস্ব মূলধন না থাকায় অন্যের টাকা নিয়ে পাখা তৈরির উপাদান কিনতে হয়। এতে লাভের একটি বড় অংশ চলে যায় মূলধন মালিকদের কাছে। পাখা তৈরির সাথে জড়িতরা জানান, আগের চেয়ে তালের গাছ কমে যাওযায় পাখা তৈরির মূল উপাদান তালের পাতা সংগ্রহ করতে এখন অনেক দূরে দূরে যেতে হচ্ছে। এতে পাখা তৈরির খরচ বাড়ছে। এ গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম জানান, পাখা তৈরির কারিগরদের সরকারী ভাবে সহজ শর্তে ঋণ দিলে এটি একটি শিল্প হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।