মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরীতে একটি রিয়েল ইস্টেট কোম্পানিকে বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে পাথর সরবরাহর কথা বলে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে জাবেদ ইকবাল (৩৫) নামের এক কুখ্যাত প্রতারককে গ্রেফতার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) রাত ৮টায় মহানগরীর শালবাগান বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার প্রতারক জাবেদ ইকবাল বোয়ালিয়া মডেল থানাধীন বিমান চত্বর ফিরোজায়াবাদ এলাকার মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। শামস রিয়েল ইস্টেট কোম্পানির প্রোপাইটার মোঃ রুহুল আমীন জানান, প্রতারক জাবেদ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম ব্যবহার করেন। কখনও জাবেদ ইকবাল, কখনও আবু তাহের রনি কখনও বা মামুন। তবে সে আটক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আমি তাকে আবু তাহের রনি (পাথর ব্যবসায়ী) হিসেবেই জানি। গত চার বছর পূর্বে নিজেকে পুলিশের একজন ডিআইজির ভাতিজা পরিচয় দিয়ে তার স্ত্রীকে নিয়ে আমার বাসায় ভাড়া ওঠে। এছাড়া পাথরের একজন বড় ইনপোর্টার বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু জানতামনা সে এত বড় প্রতারক। আমার বাসায় বসবাস করে আমাকেই ফাঁদে ফেলবে। বর্তমানে তার প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আমি ব্যাপক তিগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। তিনি আরও বলেন, শুধু ব্যবসার তি করেনি, পাথর সাপ্লাই দিবে বলে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা নগদ গ্রহণ করেছে। ৪বছর যাবত আমার বাড়ির ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেনি। তার ফাটটি আজও তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকালে এ ব্যপারে জানতে চাইলে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হুমায়ন কবির জানান, শামস রিয়েল ইস্টেট কোম্পানিকে এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে পাথর আমদানি করে সরবরাহ করবে বলে একটি চুক্তির মাধ্যমে এক কোটি ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জাবেদ।
গত বছর মহানগরীর চেম্বার ভবনে অবস্থিত শামস রিয়েল ইস্টেট কোম্পানি লিমিটেড এর নিজস্ব অফিসে স্টাম্পের মাধ্যমে একটি লিখিত চুক্তিপত্র স্বারিত করে সে। এরই মধ্যে ৫ গাড়ি পাথর দিয়ে বিশ্বস্ততা অর্জন করে জাবেদ।
পরে চুক্তিপত্র অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা প্রদান করেন রুহুল আমিন। সেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর রাজশাহী থেকে পালিয়ে যায় প্রতারক জাবেদ।
এ ব্যাপারে শামস রিয়েল ইস্টেট কোম্পানির প্রোপাইটার মোঃ রুহুল আমীন বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।