ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন মানে ভারতেরও উন্নয়ন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ভারতেরও প্রবৃদ্ধি। তিনি বলেরধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে ইসি: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্ত রক্ষা না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। তফসিল ঘোষণার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল ভোট গ্রহণ সময় দিনে হবে, না নিশিরাতে হবে, সেটি বলা। শুক্রবার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আবারো একতরফা নির্বাচনের জন্য সকল শক্তি নিয়োগ করেছে আওয়ামী সরকার। আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের শর্ত রক্ষা না করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার কাছেই আত্মসমর্পণ করেছে। তফসিল ঘোষণার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল ভোট গ্রহণ সময় দিনে হবে, না নিশিরাতে হবে, সেটি বলা।
তিনি বলেন, দেশ এক ভয়ঙ্কর ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। চারিদিকে শুধু অধিকার বঞ্চিত মানুষের করুন আর্তনাদ, হাহাকার আর বেন, সবসময় একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পাশে রয়েছে ভারত।
শ্রিংলা আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশ পারস্পরিক সুবিধা অর্জনের জন্য অনন্য অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখবে। এটি একমুখী ট্র্যাফিক হওয়া উচিত নয়।
স্যামুয়েল রিচার্ডের ‘বাংলাদেশ : ফ্রম বাস্কেট কেস টু এশিয়ান টাইগার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বইটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সাফল্য ও উন্নয়ন অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বইটির ওপর একটি বিশেষ প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়।
শ্রিংলা আলোচনায় অংশ নেন এবং বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের অব্যাহত অগ্রগতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরেন।
রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজের (আরআইএস) অধ্যাপক ড. প্রবীর দে বলেন, আন্তঃসংযোগই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অন্যতম প্রধান উপাদান।
আরেক প্যানেলিস্ট ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট রোহতকের পরিচালক অধ্যাপক ধীরাজ শর্মা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন সাফল্যের মূল অনুঘটক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করেন।
সমাপনী বক্তব্যে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশের প্রগতিশীল অর্থনীতি, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন যুগান্তকারী অর্জনের ওপর আলোকপাত করেন।
তিনি বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার জন্য ভারত সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
হাইকমিশনের মিনিস্টার (কনস্যুলার) সেলিম মো: জাহাঙ্গীর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং বইটির উপর তার মতামত ও প্রতিফলন সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, আয়োজক দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক, মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : ইউএনবি