1. nobinbogra@gmail.com : Md. Nobirul Islam (Nobin) : Md. Nobirul Islam (Nobin)
  2. bd.momin95@gmail.com : sojibmomin :
  3. bd.momin00@gmail.com : Abdullah Momin : Abdullah Momin
  4. bd.momin@gmail.com : Uttarkon2 : Uttar kon
বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও কমল - Uttarkon
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও কমল

  • সম্পাদনার সময় : মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩
  • ১৪১ বার প্রদশিত হয়েছে

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাসে দেশের বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি আরও কমে এসেছে। জুলাই-আগস্টের কোনো মাসেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি ব্যাংক খাত। বরং উভয় মাসে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি সিঙ্গেল ডিজিটে অবস্থান করছে। আগস্ট মাসে এ খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর আগের মাসেও প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ।

আগস্টের এই প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ১৫ শতাংশ কম। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বেসরকারি খাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

ব্যাংকাররা বলছেন, ডলারের বাজারের অস্থিরতা, এলসি খোলার পরিমাণ কমে যাওয়া, ঋণ খেলাপি বৃদ্ধি পাওয়া এবং ব্যাংক খাতে তারল্য সংকটের কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট মাস শেষে বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। তখন আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ঋণে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ ছাড়া আগের মাসের তুলনায় খাতটিতে ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।

আগের মাস জুলাইয়ে বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এ খাতে ঋণ বেড়েছে ৯ হাজার ৮১১ কোটি টাকা। এ ছাড়া ২০২২ সালের আগস্টে ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল।

সাধারণভাবে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কের ঘরে থাকে। তবে ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো তা নেমে যায় ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে। করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর পর ব্যাপক হারে কমে গিয়ে ২০২০ সালের মে মাসের শেষে প্রবৃদ্ধি নামে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশে। তবে পরের মাস জুন থেকে তা অল্প অল্প করে বাড়তে থাকে।

আর্থিক সংকটের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। এসবের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে, ডলার সংকট বেশ ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। এ সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করছে। এতে রিজার্ভের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মঙ্গলবারও রিজার্ভ থেকে ৩৫০ কোটি ডলার বিক্রি করা হয়। এর ফলে বর্তমানে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৫ কোটি ডলারের কাছাকাছি।

এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি কমানো হয়। তখন অর্থনীতিবিদরা বলেছিলেন, দেশের বিনিয়োগ হয় ব্যাংক খাতের মাধ্যমে। নতুন বিনিয়োগ মানেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি। লক্ষ্যমাত্রা কমানোর ফলে এটি বিঘ্নিত হতে পারে। বিনিয়োগের অগ্রগতি স্তিমিত হতে পারে। এর ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে কর্মসংস্থানে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরও খবর
Copyright &copy 2022 The Daily Uttar Kon. All Rights Reserved.
Powered By Konvex Technologies